এগারো বছরের বাচ্চারা সহজে বুঝতে চায়, ঘুম আসলে কি? তাই বিজ্ঞানীদের এ জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন অভিনেতা অ্যালান আলদা। তিনি শিশুদের জন্য এমন ব্যাখ্যা তৈরি করতে বলেছেন যেনো তারা সহজে বুঝতে পারে। আর এসব ব্যাখ্যা নিয়ে আগ্রহীরা তার আয়োজিত এক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেন।
স্টোনি ব্রুক ইউনিভার্সিটির স্কুল অব জার্নালিজম এর ভিজিটিং প্রফেসর আলদা বলেন, বিষয়টি জটিল বলেও মনে হয়। কিন্তু ১১ বছর বয়সী শিশুরা সব জটিল বিষয়কে তাদের অভিজ্ঞতার দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করে। এ জন্য এসব ব্যাখ্যাকে আরো সহজ করে উপস্থাপন করা উচিত।
অ্যালান এই নিয়ে চার বছরে চারবার কয়েকটি বিষয়ে গবেষণার সহজ ব্যাখ্যা দেওয়ার অনুরোধ জানালেন। এর ২০১১ সালে তিনি আগুন বা শিখা বিষয়ে সহজ বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন শিশুদের জন্য। এরপর ২০১২ সালে ‘সময়’কে সহজে ব্যাখ্যার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন তিনি বিজ্ঞানীদের প্রতি। এর পরের বছর তার প্রশ্ন ছিলো, রং কি? আর এভাবে এ বছর ‘ঘুম’ কি তা ব্যাখ্যা করতে বললেন বিজ্ঞানীদের।
তার আগুন বা শিখা বিষয়ক সহজ ব্যাখ্যার জন্য প্রতিযোগীদের আগামী ২০১৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়েছে। বিজ্ঞানের একজন গ্র্যাজুয়েট থেকে শুরু করে গবেষণাগারের প্রধান পর্যন্ত এতে অংশ নিতে পারেন। এ জন্য প্রতিযোগিরা লিখিত ব্যাখ্যাসহ গ্রাফিক এবং ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে নিজের ব্যাখ্যা উপস্থাপন করতে পারেন।
দুটো ক্ষেত্রের দুজনকে উ পুরস্কৃত করা হবে। লিখিত ব্যাখ্যা এবং ভিডিও ও গ্রাফিকের মাধ্যমে ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে সেরাকে ১ হাজার ডলার করে দেওয়া হবে। বিজয়ী নিউ ইয়র্কে গিয়ে আলদার সঙ্গে দেখা করতে পারবেন এবং ২০১৫ সালের মে মাসে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড সায়েন্স ফেস্টিভ্যালে সম্মাননা পাবেন।
যেকোনো ক্ষেত্রের গবেষকরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে ‘দ্য ফ্লেম চ্যালেঞ্জ (theFlame Challenge)’ এর ওয়েবসাইট থেকে।
এই অভিনেতা আশা প্রকাশ করে বলেন, বিভিন্ন বিষয়ের বিজ্ঞানীরা এতে এগিয়ে আসবেন। এ বিষয়ে একজন জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আমি কীভাবে বুঝবো একজন ১১ বছরের শিশুকে বোঝাতে কেমন ব্যাখ্যা তৈরি করতে হবে। আমি তাকে জবাব দিয়েছিলাম, এ জন্য ওই বয়সী একজন শিশুর সঙ্গে কথা বলে দেখুন।