বাংলাদেশ দুর্নীতিতে এগিয়েছে টিআইবির প্রকাশ করা এমন প্রতিবেদন সম্পর্কে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘এক সময় বাংলদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ছিল- সেটা তো হয়নি। পৃথিবীর সব দেশ দুর্নীতিমুক্ত নয়।’
তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘আমাদের গ্রোথ ও এক্সপোর্ট বাড়েনি? সেটা তো তারা বলে না।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে জার্মানির লেবার অ্যান্ড স্যোসাল ওয়েলফেয়ার স্টেট মিনিস্টার জর্জ আসমুসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাব তিনি এ কথা বলেন।
টিআইবির প্রতিবেদন এবং সিপিডির বক্তব্য সম্পর্কে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এসব এনজিও বিদেশের অর্থায়নে পরিচালিত। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের পক্ষে কেউ কি কোনো কথা বলেছে? তারা তাদের কাজ করছে। আমরা আমাদের কাজ করছি।’
টিআইবির প্রতিবেদনে প্রভাবশালীদের দুর্নীতি সম্পর্কে বলা হয়েছে। এ সম্পর্কে তোফায়েল বলেন, ‘প্রভাবশালীরাই তো দুর্নীতিগ্রস্ত। দেশের ১৬ কোটি লোকের মধ্যে ১৬ লাখ লোক ট্যাক্স দেয়।’
সংবাদপত্রের মালিক এবং সাংবাদিকদের এক হাত নিয়ে তিনি বলেন, ‘সুশীল সমাজ, পত্রিকার মালিক এবং সম্পাদক এদের সম্পদ বাড়েনি- বাড়ে শুধু রাজনীতিবিদদের। দেখা যায় যারা আমাদের উপদেশ দেন তারাই ইনকাম ট্যাক্স সেভাবে দেন না।’
তিনি বলেন, ‘ছিয়ানব্বই সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বাণিজ্যমন্ত্রী থাকাকালীন অবস্থায় আমি সংবাদপত্রের নিউজপ্রিন্ট আমদানি সম্পর্কে একটি বিধান করেছিলাম। এক টন নিউজপ্রিন্ট আনলে আর এক টন ট্যাক্স ফ্রি আনতে পারবে। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার পর সম্পাদক ও মালিকরা এর বিরোধিতা করে বলেছেন, আমি নাকি নিজ স্বার্থের জন্য এসব করেছি। তারপর থেকে এখন সব ট্যাক্স ফ্রি আমদানি হচ্ছে। এখন যেসব পত্রিকা ৫ হাজার কপি ছাপে তারা ৫০ হাজার কপি ছাপানো হয়েছে দেখিয়ে নিউজপ্রিন্ট আমদানি করে ও নয়া বাজারে বিক্রি করে ব্যবসা করে।’
তিনি সিপিডি ও টিআইবি সম্পর্কে আরো বলেন, ‘আমরা যখন বলি ২০২১ সালের মধ্যে দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে তখন তারা বলেন, এটা হতে পারবে না। এর অর্থ কী? এর অর্থ হলো প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রীসহ সব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মতবিরোধ করা।’
তিনি এসব বক্তব্যদাতাদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনারা তো এসব বলবেনই। আপনারা তো রাশিয়া থেকে বড় বড় ডিগ্রি এনেছেন। কিন্তু দেশ তো এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা কি আগামী সাত বছরে মধ্যম আয়ের দেশ হতে পারবো না?’