চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে গেছে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের একটি বুথ, ৩৮টি ফার্নিচারের শো-রুম ও ৭০টিরও বেশি বসতঘর। এতে প্রায় ৪০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। চট্টগ্রাম আগ্রবাাদ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপ পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মূৎসদ্দি জানান, কোটি টাকার একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনসহ আরও ১০ কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি জানান, আজ শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর সিটি গেইট এলাকায় সাবেক সিটি মেয়র মঞ্জুর আলমের বাড়ির সামনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে আগ্রাবাদ, বন্দর, নন্দনকানন ও সীতাকুন্ডের কুমিরা স্টেশন থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের ১৩টি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌছে। এরপর দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ততক্ষনে আগুনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠা ৩০টি ফার্নিচার শো-রুম, ৮টি বড় ফার্নিচার তৈরীর কারখানা, ৭০টিরও বেশি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
সিডিএ ১নং গলির পাশে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের একটি বুথও পুড়ে যায়। আর পাশে থাকা সিএনজি ফিলিং ষ্টেশনে আগুন লাগলেও ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় স্টেশনটি রক্ষা পায়।
অগ্নিকান্ডের কারন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কোনো কারন জানাতে পারেননি। অগ্নিকান্ডের কারন ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখনো সেখানে ডেম্পিং কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন দেরিতে আসায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। এতে প্রায় ৪০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে এ আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্ত মালিকরা।
ক্ষতিগ্রস্ত ফার্নিচার শো-রুমের মালিক মাহবুব রশীদ জানান, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল এ ফার্নিচার শো-রুম ও কারখানা তুলে দেয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে। মহলটি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ আগুন লাগিয়েছে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।
তিনি অভিযোগ করেন, ফায়ার সার্ভিসকে বার বার ফোন করার পরও যথাসময়ে আসেনি। একঘন্টা পর ৮০ ভাগ দোকান পুড়ে যাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমে কর্তব্যরত অপারেটর সরওয়ার জাহান। তিনি বলেন, খবর পেয়েই ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি গেছে।