বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পুরো একটি কারাগারে একা আরাম–আয়েশে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
গতকাল জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে শেখ সেলিম এসব কথা বলেন। তিনি সুযোগ থাকলে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় খালেদা জিয়াকে ১ নম্বর আসামি করা এবং জ্বালাও–পোড়াও করে মানুষ হত্যার দায়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দিয়ে বিচার করার দাবি জানান।
খালেদা জিয়াকে পরিত্যক্ত কারাগারে রাখা ও সুবিধা না দেওয়ার অভিযোগের জবাবে শেখ সেলিম বলেন, ‘গোটা জেলখানাই তো ওনাকে (খালেদা) দেওয়া হয়েছে। কত আরাম–আয়েশ। আবার বলা হয় ওনাকে ডিভিশন দেওয়া হয় নাই, অমুক দেওয়া হয় নাই। ওনাকে ফাইভ স্টার হোটেল সোনারগাঁওয়ে রাখা হবে? চুরি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন, ওনাকে কনডেম সেলে রাখা উচিত। উনার তো কাজ করা উচিত।’
শেখ সেলিম দাবি করেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পলাতক আসামি কর্নেল ফারুক ও মেজর ডালিমকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় পরিচয় গোপন করে ঢাকায় আনা হয়েছিল।
বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না দাবি করে শেখ সেলিম বলেন, ‘বিএনপি কথায় কথায় বলে গণতন্ত্র নাই। গণতন্ত্র আছে বলেই তো তোরা কথা বলতেছিস। ওই যে কথা বলতেছিস, টেলিভিশনে সরকারের বিরুদ্ধে ঘেউ ঘেউ করিস, মিথ্যা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করিস।’
বিএনপির সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে সরকারি দলের এই সাংসদ বলেন, বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়, নালিশ করে। দেশের গণতন্ত্র ঠিক করবে দেশের জনগণ।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দায়ী করে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানান শেখ সেলিম। তারেক রহমানকে সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও পলাতক আসামি উল্লেখ করে তাঁকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করারও দাবি জানান তিনি। তারেকের নির্দেশে লন্ডনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলছে দাবি করে শেখ সেলিম বলেন, ‘ব্রিটিশ সরকারের কাছে আমার প্রশ্ন, এই সন্ত্রাসী, জঙ্গিরা কীভাবে আমাদের হাইকমিশনে ঢুকল? এখানে আপনারা কী ব্যবস্থা নিয়েছেন। আজ এখানে আপনাদের কোনো হাইকমিশনে এ ধরনের ঘটনা ঘটত, সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতাম।’
সংসদে বসন্তের ছোঁয়া
গতকাল পয়লা ফাল্গুনে বসন্তের ছোঁয়া লেগেছিল জাতীয় সংসদের অধিবেশনেও। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ সংসদের বৈঠকে অংশ নেওয়া প্রায় সব নারী সদস্যই ছিলেন বাসন্তী পোশাকে। তবে পুরুষ সদস্যদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজনকে বাসন্তী পোশাকে দেখা গেছে।