আজ পহেলা ফাল্গুন। কাল ভালোবাসা দিবস। দিনগুলোর আয়োজন নিয়েই ব্যস্ত থাকবেন সবাই। ফুল ফুটুক আর নাই বা ফুটুক আজ বসন্ত। কিন্তু সবার জীবনেই কী আজ ফাল্গ–ন রাঙিয়ে যাবে? না। কারণ, আজ ঢাকাই ছবির কিংবদন্তি অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদির চলে যাওয়ার দিন। ২০১২ সালের আজকের এ দিনে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যান এ অভিনেতা।
ঢাকাই চলচ্চিত্রের এখনও অনেক দর্শক ও গুণগ্রাহী রয়েছেন যারা ফরীদির চলে যাওয়ার দিনটিকে শোকের দিন হিসেবেই পালন করেন। অভিনয় মিডিয়ার সব শাখাতেই ছিল ফরীদির বিচরণ। ১৯৫২ সালের ২৯ মে ঢাকার নারিন্দায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মঞ্চের মাধ্যমেই অভিনয় জীবন শুরু। প্রথম কল্যাণ মিত্রের ‘ত্রিরত্ন’ নাটকে ‘রত্ন’ চরিত্রে অভিনয়ের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৯০ সালে তিনি প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন।
মৃত্যুর ছয় বছর পর পেলেন মরণোত্তর একুশে পদক। প্রিয় অভিনেতাকে নিয়ে কথা বলেছেন দেশের কিংবদন্তি অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার। তিনি বলেন, ‘আমাদের সময় হুমায়ুন ফরীদি অভিনয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। বয়সে সে আমার ছোট। কিন্তু এক সঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে সে আমার পরম বন্ধু হয়ে গিয়েছিল। ফরীদি চলে যাওয়ার আজ অর্ধযুগ। ভাবা যায়!
একজন ফরীদি ছাড়াই আমরা এতগুলো বছর পার করে দিলাম। একটা বিষয় খেয়াল করেছি, পৃথিবীতে কালজয়ী মানুষের আয়ু অনেক কম হয়। তবে ফরীদি আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন। থাকবেন যুগের পর যুগ। আজ এখন ক্ষণে ক্ষণে সেসব মনে পড়ছে। কিছু মানুষের মৃত্যু হয় সত্যি, কিন্তু তার রেখে যাওয়া সৃষ্টি বেঁচে থাকে জনম জনম। ফরীদিও তেমন একজন। মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের চরিত্রগুলোতে মানুষের হৃদয়ে চিরকাল সে বেঁচে থাকবে।’