অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মোমেনা সোমার ওপরই নির্ভরশীল ছিলেন তাঁর ছোট বোন আসমাউল হুসনা সুমনা। তাঁর হাত ধরেই সুমনা জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হন। কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এসব তথ্য পেয়েছেন। গতকাল বুধবার সুমনার রিমান্ডের প্রথম দিন পার হয়েছে।
মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কাদের সঙ্গে সুমনার যোগাযোগ ছিল, তা রিমান্ডে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। মূলত মোমেনাই সুমনাকে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। মোমেনাকে অস্ট্রেলিয়া পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বাংলাদেশ পুলিশ অস্ট্রেলিয়া পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপকমিশনার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান প্রথম আলোকে বলেন, অস্ট্রেলিয়ার পুলিশের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ আছে। তারা মোমেনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সেখান থেকে তথ্য পাওয়া গেলে মোমেনার পুরো জঙ্গি নেটওয়ার্ক সম্পর্কে জানা যাবে। তখন জঙ্গিবাদে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা যাবে।
এদিকে সুমনার বাবা মো. মনিরুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল বুধবার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর জঙ্গিবাদে কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
গত শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মোমেনা সোমাকে (২৪) গ্রেপ্তার করে সে দেশের পুলিশ। অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ বলছে, মোমেনা আইএসের মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছেন। তাঁর ব্যাপারে খোঁজ নিতে রোববার রাতে ঢাকার
কাজীপাড়ায় তাঁদের বাসায় যায় ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের দল। একপর্যায়ে সুমনা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের এক কর্মকর্তার ওপর ছুরি নিয়ে আক্রমণ চালান। পুলিশের অন্য সদস্যরা তাঁকে ধরে ফেলেন।