পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা মর্যাদাকর পাকিস্তান সুপার লীগের (পিএসএল) খেলা নিয়ে আগামী অন্তত এক মাস দারুণ ব্যস্ত সময় কাটাবেন। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে এই পিএসএল, যা চলবে ২৩ মার্চ পর্যন্ত।
এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজে খেলবে পাকিস্তান। এর পরপরই রয়েছে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। এরপর স্কটল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে অংশ নেবার কথা রয়েছে। যদিও এই মুহূর্তে জিম্বাবুয়ে সফর নিয়ে কিছুটা শঙ্কা দেখা দিয়েছে। জুনে তিন ধরনের ফর্মেটেই পাকিস্তানকে আতিথেয়তা দেবার কথা ছিল। একইসাথে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়ারও জিম্বাবুয়ে সফরে যাবার কথা ছিল। যদিও সিরিজগুলোর সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
ঘরের মাঠে আসন্ন এই আন্তর্জাতিক সিরিজগুলো আয়োজনে আর্থিক সংকট একটি বড় ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোন দলের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন সবসময়ই ব্যয়বহুল। সফরকারী দলগুলোর জন্য বিভিন্ন ধরনের লজিস্টিক সাপোর্টের দরকার হয়। যদিও এর মাধ্যমে বেশ বড় অঙ্কের রাজস্ব আয় হয়। কিন্তু জিম্বাবুয়ের মাটিতে তা কতটা লাভজনক হবে সেটাই এখন বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যদিও জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট এখন চেষ্টা করছে উভয় দেশের সাথে আলোচনা করে দিপাক্ষিক নয় বরং ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজনের। কিন্তু সেখানে অর্থের প্রয়োজন রয়েছে।
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের ব্যবস্থপনা পরিচালক ফয়সাল হাসনাইন বলেছেন, আর্থিকভাবে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজটি আয়োজন কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ আমরা টিভি স্বত্ত থেকে তেমন কিছুই পাই না। দিনের শেষে দেখা যায় এ ধরনের সিরিজ থেকে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটকে সামনে রেখে বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো আগামী মাসে জিম্বাবুয়েতে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।