খালেদা কি নির্বাচন করতে পারবেন: প্রশ্ন ইইউর

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

4c95bf3210279c73e0bf4c030edd3641-5a843a3f7c290

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংসদীয় প্রতিনিধিদল। নির্বাচন কমিশন ভবন, আগারগাঁও, ১৪ ফেব্রুয়ারি। ছবি: ইসির ফেসবুক থেকে নেওয়া।দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে জানতে চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংসদীয় প্রতিনিধিদল। ইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি আদালতের বিষয়।

আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংসদীয় প্রতিনিধিদল। সেখানে খালেদা জিয়া আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না—প্রতিনিধিদলের একজন সদস্য জানতে চাইলে সিইসি এসব কথা বলেন।

বৈঠকের পর ইসি সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন কি না, তা আদালতের ওপর নির্ভর করছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই।

দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে এখন কারাভোগ করছেন খালেদা জিয়া। আগামী নির্বাচনে তাঁর অংশগ্রহণের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংসদীয় প্রতিনিধিদলের কোনো কথা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে হেলালুদ্দীন বলেন, এ বিষয়ে একজন জানতে চেয়েছিলেন। সিইসি তাঁদের বলেছেন, এটি আদালতের বিষয়। আদালত যদি অনুমতি দেন, তাহলে ইসির কিছু করার নেই। আর যদি আদালত অনুমতি না দেন, তাহলেও ইসির কোনো ভূমিকা থাকবে না। কমিশন সংবিধান ও আইন অনুযায়ী সবকিছু করবে।

ইসি সচিব বলেন, প্রতিনিধিদল আগামী সংসদ এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল। সিইসি তাদের বলেছেন, রাষ্ট্রপতি পদে সংসদ সদস্যরা ভোট দেন। এবার যেহেতু একজন প্রার্থী ছিলেন, তাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।

হেলালুদ্দীন বলেন, প্রতিনিধিদল মূলত দেশের নির্বাচনপ্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। নির্বাচনে খরচের টাকা কে বহন করে—তা তারা জানতে চেয়েছিল। কমিশন বলেছে, নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী সরকার খরচ বহন করে থাকে।

বৈঠক শেষে ইইউ প্রতিনিধি দলের নেতা জ্যঁ ল্যামবার্ট সাংবাদিকদের বলেন, ইইউ বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। ইসিকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে হবে। স্বাধীন ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে যাতে সর্বোচ্চসংখ্যক ভোটার ভোট দিতে পারেন এবং সব দল নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলার বিষয়টি আদালত নিষ্পত্তি করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *