বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ ফজিলাতুন নেসা বাপ্পীর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠক শুরু হওয়ার পর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
আইনমন্ত্রী জানান, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে কাফরুল থানায় ২০০৭ সালে দায়ের করা (মামলা নং ১৭/২০০৭) মামলা চলছে। এ মামলায় তারেক রহমান ছাড়াও তাঁর স্ত্রী জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু আসামি হিসেবে অভিযুক্ত হয়েছেন। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে তারেকের বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা (মামলা নং ২৯/১১ ও ৩০/১১) ও ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে দায়ের করা (১৫৫৮২/১৭) রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা চলমান রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার সিএমএম কোর্টে চারটি মানহানি মামলা (৪৯৯/৫০০ ধারায়) চলমান রয়েছে। এই মামলাগুলোর মধ্যে একটিতে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, তারেক রহমান একটি মামলায় নিম্ন আদালতে খালাস পেয়েছিলেন। ওই মামলায় হাইকোর্ট তাঁকে সাত বছর সশ্রম সাজা ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা এবং জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় তারেক রহমানের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ দশমিক ৮০ টাকা জরিমানা করেছে। অন্যান্য আসামির সঙ্গে ভাগাভাগি করে আনুপাতিক হারে এই অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরকারি দলের দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৫০টি। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪৪ হাজার ৫৪৬টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৩ হাজার ৩০টি, রাজশাহীকে ১৬ হাজার ১২৮টি, খুলনা বিভাগে ১৯ হাজার ১৩৮টি, বরিশাল বিভাগে ১০ হাজার ১৬৩টি, সিলেট বিভাগে ১১ হাজার ৮০৭টি ও রংপুর বিভাগে ২০ হাজার ৭৩৮টি।
সরকারি দলের গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, সারা দেশে ৫০০ স্থানে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩০টি। এর মধ্যে ২৯টি মামলা সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। বাকি একটি মামলা উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে।
সরকারি দলের এম এ মালেকের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক জানান, দ্রুত বিচার আইনে চলতি অর্থবছরে ৭২০টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এতে সাজাপ্রাপ্ত আসামি ১৮২ জন। এ সময় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক নিষ্পত্তিকৃত মামলার সংখ্যা ১৮টি। এতে সাজাপ্রাপ্ত আসামি ৩৭ জন।