সূত্র জানায়, ব্রিফিং শেষে নানা বিষয়ে বেশকিছু প্রশ্ন করেছেন কূটনীতিকরা। কিছু কিছু বিষয়ে তারা উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে কূটনীতিকরা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানতে চান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে কেন ডিভিশন দেয়া হয়নি। জেল কোডে যদি ডিভিশনের বিষয়টি থাকে তবে কেন তিনি তা পেলেন না। একের পর এক মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে কেন? তার বিরুদ্ধে মামলাগুলো কবে দায়ের হয়েছিল। তারা জানতে চান, দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে কেন গ্রেপ্তার করা হলো। কেন ধরপাকড় চলছে। কূটনীতিকদের এসব প্রশ্নের ব্যাপারে সার্বিক পরিস্থিতিসহ তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন বিএনপি নেতারা। বিএনপি নেতারা জানান, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলো রাজনৈতিক মামলা। এ মামলার বিচার প্রক্রিয়া এবং রায়সহ সবক্ষেত্রেই সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে। দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বড় একটি রাজনৈতিক দলের চেয়ারপারসন হওয়ার পরও তাকে ডিভিশন না দেয়ার ঘটনাও সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার উদাহরণ। এ পর্যায়ে খালেদা জিয়ার রায়ের পর বিএনপি’র প্রতিবাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রশংসা করেছেন কূটনীতিকরা। সূত্র জানায়, কূটনীতিকরা জানতে চান, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি কেন অংশগ্রহণ করেনি। বিএনপি নেতারা জানান, কোনো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলই নির্বাচন ছাড়া থাকতে চায় না। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনে গণতান্ত্রিক পরিবেশের লেশমাত্র ছিল না। ফলে সে নির্বাচনে কেবল বিএনপিই নয়, কোনো গণতান্ত্রিক দলই অংশ নেয়নি। ১৫৪টি আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সরকারি দলের প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছিল। সূত্র জানায়, কূটনীতিকরা মনে করেন- বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অবশ্যই অংশগ্রহণমূলক হওয়া উচিত। সে জন্য সব দলের সভা-সমাবেশের সুযোগ থাকা উচিত। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, সাবিহ্উদ্দিন আহমেদ, এজে মোহাম্মদ আলী, এনামুল হক চৌধুরী, আবদুল কাইয়ুম, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক বেবী নাজনীন, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল অংশ নেন।