প্রতিবছর ভালোবাসায় উপচে পড়া একটি দিন ভ্যালেন্টাইন্স ডে। গোটা বিশ্বে জাতি-গোত্র যাই হোক না কেন, এই দিসব পালনে তারুণ্যের উদ্দীপনার কমতি দেখা যায় না। কিন্তু এই দিনটি কী সবার জন্যেই ভালোবাসাপূর্ণ হয়? আসলে বেশ কিছু মানুষের কাছে ভালোবাসা দিবসটি খুবই বিরক্তি এবং অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। এ কথা বিশেষজ্ঞদের। আসুন দেখে নেওয়া যাক, কোন পরিস্থিতিতে পড়ে থাকা মানুষগুলো ভালোবাসার দিনটিকে মোটেও ভালোবাসতে রাজি নন।
১. সম্পর্কে না জড়ানোর যন্ত্রণা
হয়তো এখনো কোনো সম্পর্কে জড়াতে পারেননি। সেক্ষেত্রে এই দিনটিতে তারা অনেক বেশি একাকীত্ব বোধ করেন। আবেগঘন অবস্থা বিরাজ করে তাদের। স্বাভাবিকভাবেই চারদিকে কপোত-কপোতিদের ভীড়ে তাদের মনটাই খারাপ হয়ে থাকে। ভ্যালেন্টাইন্স ডে তাদের কাছে বিশেষ হয়ে ধরা দেয় না।
২. আবেগের প্রতি সৎ নন যারা
যারা এমন তাদের দারুণ মাখামাখি থাকা সত্ত্বেও ভালোবাসা দিবসটা উপভোগ্য হয় না। এদের সম্পর্কে এমনকি ওই দিনটাতেও ভেঙে যেতে পারে। আসলে তাদের মনে সঙ্গী-সঙ্গিনীর প্রতি ভালোবাসার বিষয়ে সৎ নন। কিংবা ভালোবাসার প্রতি বিশ্বাসও নেই। তাই বলে যে এরা আবেগ এড়িয়ে চলেন না নয়। আসলে তাদের মনে অনেক ধরনের লুকানো আবেগ কাজ করে। তাই ভালোবাসা দিবসে স্বচ্ছ ভালোবাসার অনুভূতি তাদের মনে কাজ করে না।
৩. বাচ্চাদের ভুল ধারণা জন্মাতে পারে
এটা সেই দিন যে দিনটাতে ভালোবাসতে হয়- এ ধরনের ভুল ধারণা জন্মাতে পারে শিশুদের মনে। আসলে ভালোবাসার বিশেষ দিন এটি। বছরের প্রত্যেকটা দিনই প্রিয়জনদের প্রতি ভালোবাসা কাজ করবে মনে। বিশেষ একটি দিনে নয়। কাজেই সঠিক ধারণে দেওয়াটা জরুরি।
৪. অপ্রয়োজনীয় আকর্ষণ
যারা ভ্যালেন্টাইন্স ডে-কে রীতিমতো ঘৃণা করেন তাদের তালিকা বৃদ্ধির কারণ হতে পারে যে, কেবল এই দিনটিতেই অবাঞ্ছিত এবং অপ্রয়োজনীয়ভাবে মানুষ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে। কেবল এই দিনটিতে অযথা দামি উপহারের ছড়াছড়ি, ভালোবাসা-বাসিতে ব্যস্ত হয়ে পড়া, ভালোবাসার প্রতিযোগিতামূলক আচরণ তাদের বিরক্ত করে তোলে।
৫. দামের প্রতিযোগিতা
এটা বিলাসীদের মধ্যে দেখা যায়। কে কাকে কত দামি গিফট দিতে পারেন তা নিয়ে একটা প্রতিযোগিতা চলে। এ ধরনের বিষয় বিবেকবান যেকোনো মানুষকে হতাশ করে। কেবল এমন সংস্কৃতি ভ্যালেন্টইন্স ডে’র প্রতি মানুষের মনকে বিষিয়ে তুলেছে। তার দোকানিরা এ দিন বুঝেই জিনিসপত্রের দাম অনেক বাড়িয়ে দেন। এটা কখনোই কাম্য নয়।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া