আলফ্রেডো ডি স্টেফানো থেকে শুরু করে মারিও কেম্পেস, ডিয়েগো ম্যারাডোনা, গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা হয়ে হালের লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপ ট্রফির ভারে হয়তো অনেক দেশের থেকেই পিছিয়ে থাকবে আর্জেন্টিনা। কিন্তু আলবিসেলেস্তেদের পায়ের জাদু যুগের পর যুগ মন্ত্রমুগ্ধ করেই রেখেছে ফুটবল-বিশ্বকে।
তো সেই আর্জেন্টিনাকেই নাকি মানুষ আর আগের মতো শ্রদ্ধা করে না! এমন মত খোদ ডিয়েগো ম্যারাডোনার। আর্জেন্টিনার পত্রিকা দিয়ারিও পপুলার-এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘পুরো বিশ্ব আর্জেন্টিনার ওপর শ্রদ্ধা হারিয়েছে, ব্যতিক্রম শুধু মেসি।’ শুধু শ্রদ্ধার ঘাটতি নয়, আর্জেন্টিনা দল প্রতিপক্ষ শিবিরে আগের মতো ভীতি ছড়াতে পারছে না দেখেও কষ্ট পাচ্ছেন ম্যারাডোনা।
এমনিতে আর্জেন্টাইন ফুটবল-ঈশ্বর যা-ই বলুন না কেন, তা-ই শিরোনামের জন্ম দেয়। ৫৭ বছর বয়সী ম্যারাডোনা বিশ্বকাপ সামনে রেখে এবার অবশ্য আর্জেন্টিনা দলকে ঘিরে শঙ্কার কথাই বেশি বললেন। ’৮৬ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক সবচেয়ে বিরক্ত বর্তমান দলের মিডফিল্ড নিয়ে, ‘মিডফিল্ডে আমাদের বলার মতো কেউ নেই। লুকাস বিগলিয়ার প্রতি যতটুকু শ্রদ্ধা রাখা যায়, ততটুকু রেখেই বলছি—সে জাতীয় দলে খেলছে, এটা কল্পনাও করা যায় না।’
যদি ভেবে থাকেন ম্যারাডোনার আপত্তি শুধু মিডফিল্ড নিয়ে, তবে ভুল করছেন। আক্রমণভাগ নিয়েও খুশি নন ম্যারাডোনা, ‘ইকার্দির ওপর ভরসা করা হাস্যকর। পিপা (গঞ্জালো হিগুয়েইন) তার চেয়ে দশ গুণ ভালো।’ হিগুয়েইনকে বাদ দেওয়ায় আর্জেন্টাইন কোচ হোর্হে সাম্পাওলির ওপরও খুব খ্যাপা ম্যারাডোনা, ‘ওই ব্যাটা কিচ্ছু জানে না। একটা জিনিসই জানে, বন্ধুর বাসায় গিয়ে কী খাওয়া যায়। পিপার আরেকটা সুযোগ পাওনা।’ তাহলে কি কার্লোস তেভেজকেও আরেকটা সুযোগ দেওয়া উচিত? এই প্রশ্নে ম্যারাডোনার উত্তর, ‘অবশ্যই। এটা কি কোনো বিতর্কের বিষয়! আমাদের হাতে তো আর কেউ নেই। আমরা তো হন্যে হয়ে একজন নাম্বার নাইন খুঁজছি।’
তো সমস্যাজর্জর এই আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ-সম্ভাবনা নিয়ে কী ভাবছেন ম্যারাডোনা?
‘আমাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা মাত্র ৬০ শতাংশ’—উত্তরটা শুনে আর্জেন্টাইন–সমর্থকেরা আশাহত হবেন বৈকি। মার্কা।