২০০৮ সালে রাজধানীর শাহবাগ ও তেজগাঁও থানায় করা ওই দুই মামলার হাজিরা পরোয়ানা সোমবার কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে।
এ বিষয়ে কারা অধিদপ্তরের ডিআইজি (ঢাকা বিভাগ) তৌহিদুল ইসলাম সমকালকে বলেন, আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ও ৪ মার্চ খালেদা জিয়াকে আলাদা মামলায় আদালতে উপস্থিত করতে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে হাজিরা পরোয়ানা পাঠানো হয়েছে।
তবে এখনও পর্যন্ত কুমিল্লায় নাশকতার মামলার কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানার কাগজ তারা হাতে পাননি বলে জানিয়েছেন ডিআইজি তৌহিদুল।
গত বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হওয়ার পর থেকে খালেদা জিয়া নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। প্রথমে তাকে কারাগারের সাবেক জেল সুপারের কার্যালয়ে রাখা হয়েছিল। পরে শনিবার রাতে খালেদা জিয়াকে কারাগারের নারী সেলের দোতলায় ডে-কেয়ার সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়। আদালতের আদেশে রোববার থেকে বিএনপিপ্রধান কারাগারে প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা (ডিভিশন) পাচ্ছেন।
এদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় এরই মধ্যে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আপিল ও তার জামিন আবেদনের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। তবে এখনও রায়ের অনুলিপি (সার্টিফায়েড কপি) পাননি তার আইনজীবীরা। আইন অনুযায়ী, খালেদা জিয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে সার্টিফায়েড কপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যেই করতে হবে। তবে সার্টিফায়েড কপি পাওয়ার পর থেকে এ ক্ষণ গণনা শুরু হবে।
উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন আদালতে হত্যা, দুর্নীতি, ভুয়া জন্মদিন, নাশকতা, মানহানিসহ ৩৬টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দুর্নীতির চারটি মামলা হলো—গ্যাটকো দুর্নীতি, নাইকো, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি। এসব মামলার মধ্যে চারটি মামলা সেনাসমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের, বাকি মামলাগুলো বর্তমান সরকারের আমলে দায়ের করা হয়।