ম খা আলমগীর বলেন, পত্রিকায় লিখেছে, তারা তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডারের ৭৮ অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে তিনি স্পিকারের অনুশাসন চান, যাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার মেনে চলে।
ম খা আলমগীর দাবি করেন, তিনি চেয়ারম্যান থাকতে অনুমোদন ছাড়া কোনো ঋণ ফারমার্স ব্যাংক দেয়নি। এ ধরনের অনুমানভিত্তিক প্রতিবেদন আর্থিক ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা রাখার প্রতিকূল। অনুমোদিত ঋণের চেয়ে বেশি অননুমোদিত ঋণ দেওয়ার অভিযোগও অস্বীকার করে তিনি বলেন, ঋণ দেওয়ার কর্তব্য ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। তাঁরা অনুমোদনের বাইরে কোনো ঋণ দিয়ে থাকলে তা তাঁদের দায়িত্ব। কিন্তু তাঁর জানামতে তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।
কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে ম খা আলমগীর বলেন, নিয়োগের সব ক্ষেত্রে যথাযোগ্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে ফারমার্স ব্যাংক সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মুক্তিযোদ্ধার উত্তরসূরিকে নিয়োগ দিয়েছে এবং তা ইচ্ছাকৃত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক তথ্যে উঠে এসেছে যে ফারমার্স ব্যাংকের গ্রাহকের ঋণের ভাগ নিয়েছেন ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী। এর মাধ্যমে দুজনের নৈতিক স্খলন ঘটেছে এবং তাঁরা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। পরিদর্শনে উঠে এসেছে, ব্যাংকটির জনবল নিয়োগ হয়েছে মূলত এ দুজনের সুপারিশেই। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে তাঁরা নিয়োগ দিয়েছেন।