বাংলাদেশে আজ থেকে রোজ সকালে আড়াই ঘণ্টা ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে রাখতে সব আইএসপি, মোবাইল অপারেটর ও ওয়াইম্যাক্স অপারেটরদের নির্দেশনা দিয়েছে টেলি যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসি।
এ মাসের ২২ তারিখ পর্যন্ত সকাল আটটা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত ইন্টারনেটের গতি সীমিত রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, সরকারের নির্দেশনায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
“আমরা দেখছি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বেশ কিছু অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেক কিছু পাচার হয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। সেটা নিয়ন্ত্রণের জন্য এটা একটা চেষ্টা মাত্র।”
“কতটা সফল হবে এ চেষ্টা তা আমরা এখনো নিশ্চিত না।”
মাহমুদ জানান, সরকারের কাছ থেকে নির্দেশনা পাবার পর বেশ জটিল একটি প্রক্রিয়া পার হয়ে ইন্টারনেটের গতি ধীর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে গতরাতে ধীর গতিতে ইন্টারনেট চালানোর সিদ্ধান্ত পরীক্ষামূলক-ভাবে বাস্তবায়ন করেছে বিটিআরসি। এর অংশ হিসেবে রোববার রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আধা ঘণ্টা পরীক্ষামূলক-ভাবে দেশের সব ইন্টারনেট প্রোভাইডারের ব্যান্ডউইথ প্রতি সেকেন্ড ২৫ কিলোবাইটের মধ্যে সীমিত রাখা হয়। সে সময় কার্যত বন্ধই ছিল ইন্টারনেট।
এ অবস্থা কতদিন চলবে, সে বিষয়ে মাহমুদ স্পষ্ট কোনো ধারণা দিতে না পারলেও, জানিয়েছেন, বিটিআরসি চেষ্টা করবে যাতে মানুষের কষ্ট সহনীয় সীমার মধ্যে থাকে।
প্রশ্নফাঁস বন্ধে ফেসবুক বন্ধ রাখা হতে পারে বলে কিছু দিন আগে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। বিটিআরসির তেমন পরিকল্পনা আছে কিনা এ প্রশ্নে জবাবে সংস্থার চেয়ারম্যান মাহমুদ মন্তব্য করতে চাননি।
রোববার সন্ধ্যায় ইন্টারনেটের গতি নির্দিষ্ট সময়ে কমিয়ে রাখার বিষয়ে নির্দেশনা জারি করে বিটিআরসি।
বাংলাদেশে এই মুহূর্তে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা আট কোটির বেশি। যার বড় অংশটি মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
বাংলাদেশে ২০১৫ সালে উগ্রবাদীদের যোগাযোগের পথ বন্ধ করার কারণ দেখিয়ে একবার ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছিল।
পরে ইন্টারনেট চালু হলেও সে সময় ২২ দিন বাংলাদেশে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের বেশ কয়েকটি অ্যাপ ব্যবহার বন্ধ রেখেছিল সরকার।