তারকাদের পর্দায় দেখতেই অভ্যস্ত দর্শক। পর্দার বাইরে সাধারণত তাঁদের দেখা মেলে কোনো ছবির প্রচারণা আর ঝলমলে পুরস্কার বিতরণী আসরে। কিন্তু যাঁরা অপরাধ করেন, তাঁদের থাকতে হয় কারাগারে। বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগে বলিউডের কয়েকজন তারকাকে কারাগারে থাকতে হয়েছে।
সালমান খান
২০০৭ সালে কিছুদিন জেল খাটতে হয়েছিল সালমান খানকে। ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ (১৯৯৯) ছবির শুটিংয়ের সময় রাজস্থানে মায়া হরিণ শিকারের দায়ে কারাদণ্ড দেওয়া হয় সালমান খানকে। ২০০২ সালে মদ্যপ অবস্থায় ফুটপাথের মানুষের ওপর গাড়ি চালিয়ে হত্যার দায়েও আদালত তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।
অঙ্কিত তিওয়ারি
‘আশিকি টু’ ছবির ‘সুন রাহা হ্যায় না তু’ গানের শিল্পী অঙ্কিত তিওয়ারিকে ২০১৪ সালে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এক নারী বন্ধুকে ধর্ষণের দায়ে তাঁকে কারাগারে ঢুকতে হয়েছিল।
সঞ্জয় দত্ত
একটি একে-৫৬ রাইফেল অবৈধভাবে রাখার দায়ে সন্ত্রাসবিরোধী টাডা আইনে গ্রেপ্তার হন বলিউড তারকা সঞ্জয় দত্ত। ২০০৬ সালে এ মামলায় তাঁর ছয় বছর কারাদণ্ড হয়। অবশ্য চার বছরের কম সময়ের মধ্যেই মুক্তি পান এই নায়ক।
জন আব্রাহাম
জন আব্রাহামকেও কারাগারে কাটাতে হয়েছিল কিছু সময়। ২০০৬ সালে বাইক দুর্ঘটনায় দুজন ব্যক্তিকে আহত করার সাজা হিসেবে কারাগারে নেওয়া হয় তাঁকে।
সাইনী আহুজা
নিজের গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে নায়ক সাইনী আহুজাকে জেলে থাকতে হয়েছে। মুম্বাইয়ের আর্থার রোড কারাগারে বন্দী ছিলেন তিনি।
ফারদিন খান
‘প্যায়ার তুনে ক্যায়া কিয়া’ ছবির নায়ক ফারদিন খান। মাদক কেনার সময় হাতেনাতে ধরা পরায় পাঁচ দিন কারাগারে ছিলেন তিনি।
সোনালী বেন্দ্রে
একটি ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে অশালীন ভাবে নিজেকে উপস্থাপন করায় জেল হয়েছিল সোনালী বেন্দ্রের। কিছু মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগায় এই নায়িকার জেল হয়। অল্প সময়ের মধ্যে জামিন পেয়ে যান তিনি।
সাইফ আলী খান
মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে এক ব্যক্তিকে মারধর করার অভিযোগে সাইফ আলী খানের জেল হয়েছিল। ওই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন কারিনা কাপুর খান ও মালাইকা অরোরা। অল্প সময়ের জন্য হলেও ছোট নবাব হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন কয়েদ হওয়ার যন্ত্রণা।
অক্ষয় কুমার
বিচিত্র এক কারণে জেল হয়েছিল নায়ক অক্ষয় কুমারের। একবার ল্যাকমে ফ্যাশন উইকে সবার সামনে স্ত্রী টুইংকেলকে দিয়ে নিজের প্যান্টের বোতাম খোলানোর জন্য তাঁকে জেলে নেওয়া হয়।
সুনীল শেঠি
একটি টেলিকম কোম্পানির পরিচালক ছিলেন সুনীল শেঠি। ওই সময় ব্যাংকে একটি চেক প্রত্যাখ্যাত হওয়ার মামলায় তাঁকে হাজত বাস করতে হয়।