আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সরকার মামলা করেনি, আদালতকেও ব্যবহার করেনি।
খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে আদালত ব্যবহার করে সাজা দেয়া হয়েছে এ অভিযোগ ঠিক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই মামলা তো সরকার করেনি, সরকারের কোনো হস্তক্ষেপও নেই। বেগম জিয়া যদি নিয়মিত হাজিরা দিতেন তবে এ মামলার অনেক আগেই রায় হয়ে যেতো। এখন তিনি নিজেই দেরি করে নির্বাচনকে সামনে রেখে এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন।’
এর জন্য বেগম জিয়া ও তার বিজ্ঞ আইনজীবীদের দায়ী করে তিনি বলেন ‘তা না হলে মামলাটি ১০ বছর কেন চলবে।’
ওবায়দুল কাদের আজ শুক্রবার গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাসে র্যাপিড বাস ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাজা হয়েছে তারেক রহমানেরও।
এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যার আগে সাত বছরের সাজা হয়েছে, মানি লন্ডারিংয়ে তিনি দণ্ডিত ব্যক্তি। এ মামলায় তার ১০ বছরের দণ্ড ও দুই কোটি টাকার মতো জরিমানা হয়েছে। বিএনপির গঠনতন্ত্র থেকে কেন ৭ ধারা তুলে দিয়েছে তা এখন তো পরিস্কার। দুর্নীতিবাজরা তাদের নেতা হতে বাধা নেই।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর একটি মন্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই রায়ের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত হবে না, বরং বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংকট ঘনীভূত হবে।
এ সময় সড়ক বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, গাজীপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আজমত উল্লা খান, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী ডিএকেএন নাহিন রেজাসহ সড়ক ও জনপথের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।