মো: আবু বক্কর সিদ্দিক সুমন ; উত্তরা প্রতিনিধি :
বেগম জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে রাজধানীর উত্তরার রাজপথে সক্রীয় অবস্থানে ছিলেন আওয়ামী লীগসহ এর অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতা কর্মীরা।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে উত্তরা ৯ নং সেক্টর থেকে অস্ত্রসহ এক বিএনপি নেতাকে আটক করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদাজিয়ার বিরুদ্ধে আনিত জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষনাকে কেন্দ্র করে যেকোন ধরনের নাশকতা মোকাবেলায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই উত্তরার বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতিরোধ মুলক প্রস্তুতি নেয় স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তবে কোথাও বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঠে নামতে দেখা যায়নি। দুপুর ১টার দিকে উত্তরার ৯ নং সেক্টর থেকে মোজাম্মেল হক নামে এক জনকে আটক করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
এসময় তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে তার ব্যবহৃত বৈধ একটি বিদেশী শর্টগান জব্দ করাহয়। আটক মোজাম্মেল চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির উপদেষ্টা বলে জানিয়েছে দায়িত্বরত পুলিশ, তবে দলীয় ভাবে তার কি পদ রয়েছে তা জানা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে সে পশ্চিম থানার জেল হাজতে রয়েছে। ভোর থেকেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রতিরোধ অবস্থানে ছিলেন উত্তরা পশ্চিম থানাধীন আজমপুর আমির কমপ্লেক্সের সামনে পশ্চিম থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট মনোয়ারুর ইসলাম চৌধুরী রবিন এর নেত্রীত্বে কয়েকশত নেতা কর্মী, পূর্ব থানাধীন আজমপুর বাসষ্টান্ড এলাকায় অবস্থান নেয় পূর্ব থানা আ’লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কুতুবুদ্দিন আহমেদসহ শতাধীক নেতাকর্মী, উত্তরার প্রানকেন্দ্র রাজলক্ষী এলাকায় নগর উত্তর এর সহ সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব হাবিব হাসান এর নেত্রীত্বে পাঁচ শাতাধীক নেতাকর্মী, যুবলীগ উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন সরকারের নেত্রীত্বে শত শত নেতা কর্মী ও বৃহত্তর উত্তরা থানা আওয়ামীসেচ্ছা সেবক লীগের সহ প্রচার সম্পাদক মো. মোস্তফা সরদারের নেতৃত্বে লাল ফিতা মাথায় বেধে কয়েক শত নেতা কর্মী অবস্থান নেন। অন্যদিকে উত্তরার হাউজবিল্ডিং ও সাইদ গ্রেন্ড এলাকায় অবস্থান নেয় ১ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি সালাহউদ্দিন আহমেদ খোকার নেত্রীত্বে কয়েক শত নেতা কর্মী, সুইচ গেইট ও পূর্ব থানাধীন আব্দুল্লাহপুর এলাকায় ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজ্বী আফসার উদ্দিন খানের নেতৃত্বে ৫ শতাধিক নেতা কর্মী ।
দুপুর ২ টার দিকে দুপুরের খাবার শেষে রায় ঘোষনার পরে কর্মীদের সংখা কমতে থাকলেও যথাযত অবস্থানে ছিলেন নেতারা। কোথাও কোন রকম অপ্রিতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সকাল দিকে যানবাহনের সংখা কম থাকলেও বিকেল বেলায় বেশ কিছু যানবাহন রাস্তায় চলাচল করতে দেখা যায়।