চলতি বছরকে বিশ্বের ইতিহাসে তাপমাত্রার দিক থেকে সবচেয়ে উষ্ণ বছর হিসেবে চিহ্নিত করেছেন আবহাওয়াবিদরা। পেরুতে চলমান জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিশ্বের ইতিহাসে তাপমাত্রা রেকর্ড করা শুরু হবার পর থেকে ২০১৪-এর তাপমাত্রা সবচেয়ে গরম ছিল বলে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মরক্কো, তুরস্ক এবং বলকান এলাকাসহ বিশ্বের কয়েকটি এলাকায় আবহাওয়ার ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা। সংস্থাটি বলছে এ পরিবর্তনের নমুনা অনুযায়ী কিছু এলাকায় বৃষ্টি বাড়ছে আবার কিছু এলাকায় খরা দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘের আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থা সতর্ক করে বলছে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্রমেই তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে। তাপমাত্রার এই পরিবর্তনে সমুদ্রপৃষ্ঠ আর গোলার্ধে প্রভাব পড়বে।
সংস্থাটি বলছে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা সর্বকালের মধ্যে সবচেয়ে রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে মরক্কো, তুরস্ক এবং বলকান এলাকায় অধিক মাত্রায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আবার আরেক প্রান্তে শুষ্কতা বাড়ছে। ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিকাল অর্গানাইজেশনের প্রধান মিশেল জারাউড বলেন ক্রমবর্ধমান গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন এবং বায়ুমণ্ডলীয় ঘনত্ব পৃথিবীর পরিবেশকে ক্রমেই অনিশ্চিত এবং অসহনীয় পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
চলতি বছরের প্রথম দশ মাসে বিশ্বব্যাপী বায়ুর গড় তাপমাত্রা ছিল প্রায় শূন্য দশমিক পাঁচ সাত সেলসিয়াস। প্রথম ১১ মাসে যুক্তরাজ্য এক দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস গড় তাপমাত্রা উৎপন্ন হয়েছে। ভূপৃষ্ঠের কার্বন গ্যাস নিঃসরণ এ জন্য অনেকটাই দায়ী বলে বলছেন আবহাওয়াবিদরা। এ বছরের চলতি ধারা পরবর্তী দুই মাস চলতে থাকবে বলে মনে করছে তাঁরা।
এসব তথ্য অনুযায়ী ১৫টি উষ্ণতম বছরের মধ্যে ১৪টিই একবিংশ শতকে দেখা গেছে। তাপমাত্রা চরম উষ্ণ হলে রেকর্ডভাঙা মাত্রাতিরিক্ত তাপমাত্রা, মুশলধারে বৃষ্টিপাত এবং বন্যায় জীবিকা ও জীবনের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হতে পারে। এর প্রভাব পড়তে পারে সমুদ্রপৃষ্ঠ ও উত্তরাঞ্চলীয় গোলার্ধে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা