সকাল থেকে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া এবং ঢাকায় আসা যাত্রী তুলনামূলকভাবে কম ছিল। বরগুনা থেকে আসা লঞ্চ পূবালী-১–এর কর্মচারী শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিন যে পরিণাম যাত্রী আসে, আজকে তুলনামূলক কম এসেছে।’ চাঁদপুরগামী লঞ্চ বোগদাদীয়া-৭–এর কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন বলেন, ‘আজকে আমরা দুশর মতো যাত্রী পেয়েছি, যেখানে অন্যান্য দিন সংখ্যাটি থাকে প্রায় ৫০০।’
সকালে ঢাকা প্রবেশমুখে যাত্রীদের তল্লাশি চালিয়েছে নৌ–পুলিশ। নৌ–পুলিশের এসপি মো. এহসান বলেন, ‘কোনো রকম বিশৃঙ্খলা ও অপতৎপরতা ঠেকাতে সন্দেহভাজন যাত্রীদের তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’ ঢাকা নদীবন্দরের নৌযান পরিদর্শক মো. শরীফ উদ্দিন জানান, ভোররাত চারটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চল থেকে লঞ্চ এসেছে ৪৭টি। ওয়াপদা ও চাঁদপুর রুটে বন্দর ত্যাগ করেছে ৩টি লঞ্চ।
তা ছাড়া বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতুর ইকুরিয়া, দ্বিতীয় সেতুর কদমতলী ও তৃতীয় সেতুর বছিলায় পুলিশের পাশাপাশি অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগের অঙ্গ–সংগঠনের নেতা–কর্মীরা। তাঁরা গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের তল্লাশি করেন এবং সন্দেহভাজন যাত্রীদের নামিয়ে দেন। দ্বিতীয় সেতুতে অবস্থান নেন কৃষক লীগের নেতা–কর্মীরা। দ্বিতীয় সেতুতে অবস্থান নেওয়া দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা কৃষক লীগের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সকাল থেকে এখানে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়েছি যাতে বিএনপির নেতা–কর্মীরা কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারেন।’