বাংলাদেশের ক্রিকেটে ‘পাগলা’ নামটি কার সেটা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। সাবেক কোচ ডেভ হোয়াটমোর এই নামটি দিয়েছিলেন তখনকার দুরন্ত কিশোর মাশরাফি বিন মুর্তজা কৌশিককে। তবে এই নামটিতে তাকে আরও অনেকেই চেনেন। যেমন ডেভিড ইয়াং। জানেন কে ইনি? মাশরাফির পায়ে ৭ বার অস্ত্রোপচার করেছিলেন এই বিখ্যাত অস্ট্রিলিয়ান শল্যবিদ। আজ হঠাৎ দেখা হয়ে গেল তার প্রিয় ‘পাগলার’র সঙ্গে।
বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির একটি সম্মেলনে ঢাকায় এসেছেন ডেভিড ইয়ং। একটু সুযোগ পেয়েই চলে আসেন বিসিবি কার্যালয়ে। সেখানেই অনেকদিন পর দেখা হয় তার ‘প্রিয় রোগি’র সঙ্গে। ডান হাঁটুর চোটে পড়ে মাশরাফি প্রথমবারের মতো ইয়াংয়ের শরণ নিয়েছিলেন ২০০৩ সালের নভেম্বরে। এরপর আরও ৬বার ডেভিড ইয়াংয়ের শরণাপন্ন হতে হয়েছে ম্যাশকে। তার ক্যারিয়ারে এই অজি চিকিৎসকের অবদান সবসময় স্বীকার করে এসেছেন মাশরাফি।
আজও সাংবাদিকদের বললেন, ‘ আমার প্রায় সাতটি অস্ত্রোপচারই তিনি করেছেন। এখনো খেলছি ওপরে আল্লাহ আছেন বলেই। আর উছিলা হিসেবে আছেন তিনি। তিনি আমার জন্য সবকিছুই করেছেন। এখন এমনই অবস্থা হাঁটুর বিষয়ে অন্য কারও কাছে গেলে তেমন আত্মবিশ্বাস পাই না! শুধু আমি নয়, আমাদের যারা হাঁটু ও পিঠের চোটের অস্ত্রোপচার করেছে, সবই ওনার কাছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটে নেপথ্যের বন্ধু তিনি।’
বিসিবিতে ডাক্তারকে পেয়ে নিজের হাঁটু জোড়া দেখিয়ে দিলেন মাশরাফি। ডেভিড ইয়াং তার অভিজ্ঞ চোখে রোগির হাটু পর্যবেক্ষণ করলেন। সম্প্রতি মাশরাফির টেস্ট ক্রিকেটে ফেরা নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। বিসিবি যদিও এতে রাজী নয়; তবু সাংবাদিকরা একবার ডেভিড ইয়াংয়ের মতামত চাইলেন। উত্তরে এই বিখ্যাত শল্যবিদ যা বললেন তা বেশ উৎসাহব্যাঞ্জক।
তিনি বললেন, ‘ টি দলের নেতার দরকার। সে সব সময়ই নেতা। টেস্ট দলে তার মতো খেলোয়াড়ের জায়গা থাকে। আপনার প্রশ্নের উত্তর হবে-হ্যাঁ।’
ডেভিড ইয়াংকে নিয়ে মাশরাফির যত মুগ্ধতা, তেমনি ম্যাশকে নিয়েও মুগ্ধতা আছে ডাক্তারের। তার ভাষায়, ‘মাশরাফি পেশাদার অ্যাথলেট। ক্রিকেট এবং দেশের প্রতি সে সবটুকু উজার করে খেলে। তার ক্যারিয়ারে একটু হলেও অবদান রাখতে পেরে আমি আনন্দিত। তার যে বিষয়টি সবচেয়ে ভালো লাগে, সে অসাধারণ একজন মানুষ। অনেক বড় হৃদয়ের মানুষ। বাংলাদেশ ও ক্রিকেটের জন্য সে সত্যিকারের এক দূত।’