প্রশ্নফাঁসের ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রশ্নফাঁসকারীকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে বলে হবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।চলমান এসএসসি পরীক্ষা ২০১৮-এর অব্যাহত প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাবলিক পরীক্ষা মনিটরিং ও আইন শৃংখলা কমিটির এ বৈঠকটি ডাকেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সোহরাব হোসাইন। বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পুলিশ-র্যাব-এনএসআই,বিটিআরসি’র উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তারা উক্ত কমিটির সদস্য। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে প্রায় সংশ্লিষ্ট সবাই যোগ দেন।
বৈঠকের মূল ও একমাত্র এজেন্ডা (আলোচ্য বিষয়) ছিল, প্রশ্ন ফাঁস। গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে। এবারে এসএসসি পরীক্ষা সাধারণ সব কয়টি বোর্ডে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে দেশের কোনো না কোনো স্থান থেকে কেউ না কেউ প্রশ্ন ফাঁস করে দিলেই তা সারাদেশের ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের সাহায্যে।
গত ১ ও ৩ ফেব্রুয়ারি বাংলা ১ম ও ২য় পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর এক ঘন্টা আগেই উক্ত পরীক্ষার প্রশ্ন পাওয়া গেছে, পেসবুকের একটি নির্দিষ্ট আইড’তে। এবং উক্ত আইডি থেকে তাৎক্ষনিকভাবেই তা ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন গ্রুপের আইডি’তে। অথচ পরীক্ষা শুরুর আগে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও শিক্ষাসচিব বলেছিলেন,ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রমানিত হলেই পরীক্ষা বাতিল করা হবে।
তারা উভয়েই আরো বলেছিলেন, প্রশ্ন ফাঁসের সকল পথ বন্ধ করা হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু অনুষ্ঠিত দু’টি পরীক্ষার আগের চিত্র হচ্ছে সম্পূর্ণ বিপরীত।
জানা গেছে, আগামীকাল ইংরেজি ১ম পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নও গত রাতে ফেসবুকে পাওয়া গেছে। এটি আসলেই মূল প্রশ্ন কি না? তা যাচাই করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ পরীক্ষাটি হবে সোমবার।
পরীক্ষার প্রথম দিন শিক্ষামন্ত্রীকে প্রশ্ন ফাঁসের ব্যাপারে সাংবাদিকরা প্রশ্ন ফাঁস হওয়া বিষয় জানতে চাইলে মন্ত্রী তা অস্বীকার করেন। ২য়পত্রের প্রশ্নও শনিবার একইভাবে ফেসবুকে পাওয়া গেলে মন্ত্রী ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়কারী প্রকারান্তবে বিষয়টি স্বীকার করেন এবং বলেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। রোববার দুপুরে সচিবই এ বৈঠক ডাকেন।