গত ৯ বছরে বিএনপির ১২ হাজার ৮৫০ জনের বেশি নেতা-কর্মী রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পত্রপত্রিকা ও তাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী এই হিসাব বের করা হয়েছে বলে জানান তিনি। শনিবার দুপুরে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভায় সাংগঠনিক প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ অসংখ্য নেতাকর্মীদের গুম করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন প্রণীত প্রতিবেদনেও বাংলাদেশে বিরাজমান মানবাধিকার পরিস্থিতির উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও কারসাজির মাধ্যমে এবং পরবর্তীতে ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন একটি প্রহসনের নির্বাচনে ক্ষমাসীন হওয়া বর্তমান সরকার তাদের দুঃশাসনের ৯টি বছর ইতোমধ্যে অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে।
ফখরুল বলেন, ‘ক্ষমতাসীন সরকারের ফ্যাসিবাদী নিস্পেষণে দেশের মানুষ আজ হাঁপিয়ে উঠেছে। সারাদেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। ছাত্রলীগ যুবলীগের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও সন্ত্রাস দেশের সত্রত ত্রাসের সঞ্চয় করেছে। চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ধর্ষণ, খুন ও নারী নির্যাতন আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে গেছে।’
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, সারা দেশে অসংখ্য বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করে এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ড (ক্রসফায়ার) আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। নিরাপত্তা হেফাজতে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে।
নির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এতে নির্বাহী কমিটির সদস্য, স্থায়ী কমিটির সদস্য ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।
জানা গেছে, বিএনপির আজকের বৈঠকে মূলত তিনটি বিষয় গুরুত্ব পেতে পারে।
তা হলো ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়, এতে খালেদা জিয়ার সাজা হলে এবং তিনি নির্বাচনে ‘অযোগ্য’ হলে দলের অবস্থান কী হবে; তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন।