১১ নম্বর ব্যাটসম্যান মুস্তাফিজুর রহমানের ছক্কাটা দেখেছেন? রঙ্গনা হেরাথের মত অভিজ্ঞ স্পিনারকে লং অনের ওপর দিয়ে যেভাবে ছক্কাটি মারলেন, তা দেখে জেনুইন ব্যাটসম্যানরাও অবাক হয়ে যাবেন। সান্দাকানের শর্ট বলটি বুঝতে না পেরে ব্যাটে লেগে আউট হওয়ার সাথে সাথেই শেষ হলো বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। ৫১৩ রানের পাহাড় গড়ার পথে আক্ষেপ থেকে গেল অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহর সেঞ্চুরির।
মুস্তাফিজ যদি আরও একটু সঙ্গ দিতে পারতেন তবে হয়ত ৮৩ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়তে হতো না রিয়াদকে। দিনশেষে দলের স্বার্থই আসল। রিয়াদের সেঞ্চুরির আক্ষেপের পাশাপাশি মুস্তাফিজের ছক্কাটি চোখে লেগে থাকবে।
আজ বৃহস্পতিবার টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল হকের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অভিজ্ঞ স্পিনার রঙ্গনা হেরাথের বলে মেন্ডিসের তালুবন্দি হন ২১৪ বলে ১৬ চার ১ ছক্কায় ১৭৬ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলা মুমিনুল। আর ৭ রান করলেই নিজের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৮১ রানের ইনিংস ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ড গড়তে পারতেন।
মুমিনুলের পর হেরাথের বলে মিড অনের ওপর দিয়ে অহেতুক তুলে মারতে গিয়ে সান্দাকানের তালুবন্দি হলেন অসুস্থতা কাটিয়ে দলে ফেরা অল-রাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (৮)। দলীয় স্কোর ৪০০ ছাড়ানোর পরপরই ভালো খেলতে থাকা আরেক অল-রাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ (২০) অহেতুক তিন রান নিতে গিয়ে রান-আউট হয়ে যান। এরপর জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহ এবং সানজামুল ইসলাম।
দুজনে মিলে অষ্টম উইকেটে ৫৮ রানের চমৎকার জুটি উপহার দেন। ২৪ রান করা সানজামুল সান্দাকানের শিকার হলে ভাঙে ৫৮ রানের অষ্টম উইকেট জুটি। নাইটওয়াচম্যান খ্যাত তাইজুল ইসলাম এসে ১ রান করেই হেরাথের তৃতীয় শিকার হলে নবম উইকেটের পতন ঘটে বাংলাদেশের। তবে মুস্তাফিজের সঙ্গে শেষ উইকেট জুটিতে দলের স্কোর ৫০০ পার করে দেন অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহ। অবশেষে ৫১৩ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। ৩টি করে উইকেট নেন সুরঙ্গা লাকমাল এবং রঙ্গনা হেরাথ।
৪ উইকেটে ৩৭৪ রান তুলে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। মুমিনুল হক ১৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান ১৮১। গতকাল মুশফিকের সঙ্গে তার জুটি ছিল ২৩৬ রানের! মুমিনুল সেঞ্চুরি পেলেও অল্পের জন্য ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠবারের মত তিন অংক যেতে পারেননি মুশফিক। ১৯২ বলে ৯২ রান করে আউট হয়ে যান তিনি।