জালিয়াতিতে জড়িত তিন শিক্ষার্থী হলেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের নাভিদ আনজুম তনয়, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মহিউদ্দিন রানা, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের আবদুল্লাহ আল মামুন। এদের মধ্যে রানা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ছিলেন।
এর আগে রানাকে ছাত্রলীগ থেকেও বহিষ্কার করা হয়। সিন্ডিকেট সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ঢাবির ঘ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে জালিয়াতিতে জড়িত থাকার প্রমাণসহ রানা ও মামুনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে করা হলে বেরিয়ে আসে জালিয়াত চক্রের অন্যতম হোতা তনয়সহ বেশ কয়েকজনের নাম। পরে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জালিয়াতির সুযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া আরো ১২ শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করা হয়।
গত ৪ জানুয়ারি ঢাবি শৃঙ্খলা কমিটির এক সভায় এসব শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিলের সুপারিশ করা হয়। গতকাল সিন্ডিকেট সে সুপারিশ গ্রহণ করে তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করে।
ছাত্রত্ব বাতিল হওয়া ১২ শিক্ষার্থী ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ঢাবির বিভিন্ন বিভাগের প্রথম বর্ষের অধ্যয়নরত। এরা হলেন- বাংলা বিভাগের আখিনুর রহমান অনিক, ইতিহাস বিভাগের টিএম তানভীর হাসনাইন, শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের মুন্সী সুজাউর রহমান এবং পালি ও বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের নাজমুল হাসান নাঈম, স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের ফারদিন আহমেদ সাব্বির, অর্থনীতি বিভাগের মো. তানভীর আহমেদ মল্লিক ও রিফাত হোসাইন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের নাহিদ ইফতেখার, বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের মো. আজিজুল হাকিম, মনোবিজ্ঞান বিভাগের মো. বায়েজিদ, সংস্কৃত বিভাগের প্রসেনজিৎ দাশ, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের রাফসান করিম।
এদের স্থায়ীভাবে ছাত্রত্ব বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিন্ডিকেট সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এ বিষয়ে তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, ডিজিটাল জালিয়াতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এদের বহিষ্কারের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশ ছিল। পরে সে সুপারিশ মোতাবেক তাদের সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এছাড়াও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পদে একজন শিক্ষকের নিয়োগের সুপারিশ নাকচ করা হয়।
এ বিষয়ে ভিসি বলেন, অনেক শর্তই পূরণ করা হয়নি। তাই ওটা সিন্ডিকেটে গ্রহীত হয়নি।