বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বহুল আলোচিত নিপীড়নমূলক আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারাসহ ৫টি ধারা বিলুপ্ত করে গতকাল ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন- ২০১৮’র খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। যা আরো একটি কালো আইন হিসেবে ইতিহাসে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এ আইনটি পাস হলে মানুষের বাকস্বাধীনতা বলে কিছুই থাকবে না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বলেও কিছু থাকবে না।
আজ মঙ্গলবার সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন।
তিনি বলেন, নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়ায় জাতির পিতা, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা, প্রচারণা এসবে মদদ দেয়ার শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। তাহলে তো মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনো গবেষণা বা কথাও বলা যাবে না। আওয়ামী লীগ বা সরকারের লোকজন যা বলবে তাই হবে ইতিহাস। সত্যিকার ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করে বা এ বিষয়ে কেউ মতামত দিলে তিনি অপরাধী হয়ে যাবেন। মূলত মানুষের সকল স্বাধীনতাকে হরণ করতেই এ আইনটি করা হয়েছে।
এ সময় তিনি আরো বলেন, আমি নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংসদে পাস করা থেকে বিরত থাকার জোর দাবি জানাচ্ছি। এ মধ্যযুগীয় অমানবিক মানবতাবিরোধী আইন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের উদ্যোগের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানচ্ছি।
তিনি বলেন, সরকারের দুর্নীতি যাতে প্রকাশ না পায় বা কেউ প্রকাশ করতে না পারে সে জন্যই এ আইনটি করা হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া আইনের খসড়ায় কম্পিউটার বা ডিজিটাল গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ সংক্রান্ত ৩২ ধারায় সাংবাদিকরা হয়রানির শিকার হবেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা ডা এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভুইয়া, আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, আসাতুল কবির শাহীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।