বিএনপিকে ভাঙার জন্য বিএনপিই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, গঠনতন্ত্রের সাত ধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে বিএনপি যেভাবে অগণতান্ত্রিক পন্থাকে আঁকড়ে ধরেছে। হামলা-মামলার ভয়ে বিএনপি তাদের গঠণতন্ত্র পরিবর্তন করেছে। তাদের ইমানের জোর এতোই হালকা। পালকের মতো হালকা। এভাবে নিজেই বিএনপি তাদের মুখোশ উন্মোচন করছে। তাই বিএনপিকে ভাঙার জন্য আওয়ামী লীগের প্রয়োজন নেই। বিএনপিকে ভাঙর জন্য বিএনপিই যথেষ্ট।
আজ সোমবার বিকেলে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে দলের ‘নতুন সদস্য সংগ্রহ ও পুরনো সদস্যদের নবায়ন’ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন দলের প্রচার সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোর্শেদ কামাল প্রমুখ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করেছে। রাতের অন্ধকারে কোনো কাউন্সিল ছাড়াই এক কলমের খোঁচায় তারা তা করেছে। এর মাধ্যমে তাদের গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা উধাও হয়ে গেছে। কী অদ্ভুত তাদের গঠনতন্ত্র! কী অদ্ভুত তাদের গণতন্ত্রের নমুনা! যেখানে এক বছর ১০ মাস অতিবাহিত হলেও তারা একবারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক করতে পারেনি, সেখানে তারা নির্বাচন কমিশনে একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে অদ্ভুত প্রক্রিয়ায় গঠনতন্ত্র পরিবর্তন হয়ে গেলো!
ওবায়দুল কাদের বলেন, গঠনতন্ত্র সংশোধনের মাধ্যমে এই ৭ ধারা বাদ দেয়ার ফলে সব দণ্ডিত, দেউলিয়া, উন্মাদ ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী বিএনপি’র সদস্য হতে পারবে। এখন বিএনপিকে চিনে নিন। এই হলো বিএনপি। এই হলো তাদের গণতন্ত্র ও গঠনতন্ত্র।
বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে এখন আদালতের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরাতো খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করিনি। মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আমরা তো খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি করছি না। অথচ আদালতের রায় তাদের বিরুদ্ধে গেলে তারা তা মানবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। সরকার কি মামলা করেছে? তবু তারা সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। আমরা বলেছি, খালেদা জিয়ার রায় কী হবে তা আদালতই জানে। আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীন।