এর আগে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে সেখানে সমাবেশ করে ছাত্রলীগ। সমাবেশে বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, ঢাবি শাখার সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স। আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয়, বিশ্ববিদ্যালয় ও হল শাখার নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগের দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির উপর হামলাকারী, লাঞ্ছনাকারী এবং ভিসির কার্যালয় ভাঙচুরকারীদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবিলম্বে বহিষ্কার করতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের উপর হামলাকারী ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, তানভীর আহমেদ মুঈন, বেনজীর, তুহিন কান্তি, সাদিক রেজা, তমা, সুদীপ্ত, সালমান, ইভা, তমা শাকিল, ইরা, সোহেল রিফাত, সিদ্দীকী, জামিল, মিথিলাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও গ্রেপ্তার করতে হবে। প্রক্টর অফিস ভাঙচুরকারী এবং প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপর হামলাকারীদের বহিষ্কার করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ক্যামেরা ভাঙচুরকারী এবং ক্যামেরাম্যান ও ভিসি অফিসের কর্মচারী উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েল শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশকে যারা নষ্ট করতে চায় তাদেরকে অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
এদিকে ‘নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীরা সারাদেশে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে। বেলা ১২টায় মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে তারা। কর্মসূচির মধ্যে আরো রয়েছে- ২৬শে জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে সংহতি সমাবেশ, ২৮শে জানুয়ারি সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। সংবাদ সম্মেলন শেষে তারা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল চলছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ৪ দফা দাবিতে বেশ কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। তাদের দাবিগুলো হলো- আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্বদ্যিালয়ের করা অজ্ঞাতনামা মামলা প্রত্যাহার করা, অধিভুক্ত বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, যৌন নিপীড়নকারী ছাত্রলীগ নেতাদের বহিষ্কার, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানীর পদত্যাগ এবং সাত কলেজ সংকটের নিরসন।
উল্লেখ্য, গতকাল নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীরা তাদের চার দফা দাবি আদায়ে ভিসিকে অবরুদ্ধ করলে ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে ভিসিকে উদ্ধার করে। এসময় অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। এর আগে গত ১৫ই জানুয়ারি সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও যৌন নিপীড়ন করেছিলো ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।