শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, পরীক্ষার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফেইসবুক সহ কয়েকটি এ্যাপস বন্ধ থাকবে। এতে যদি প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ হয়, তবে ভাল। কিন্তু পরিস্থিতিতো তা বলছে না। কারণ পরীক্ষার সময় মাধ্যমগুলো বন্ধ থাকলে কি লাভ। প্রশ্নপত্রতো আগেই ফাঁস হয়ে যায়। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে তো আর কোন পরীক্ষার্থী হলে মোবাইল নিয়ে যায় না। সুতরাং প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে শিক্ষামন্ত্রীর এই উদ্যোগ একটি বোকামী ছাড়া আর কি?
গণমাধ্যমে খবর আসছে, মন্ত্রী পরিষদে শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এই ক্ষোভ বিরাজ করাই স্বাভাবিক। কারণ শিক্ষামন্ত্রী নিজেক সৎ দাবী করে যে কাজ গুলো করছেন তা সৎ কাজ নয় বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। কারণ তিনি সহনীয় মাত্রায় ঘুষ নেয়ার কথা বলে নিজেই অসহনীয় মাত্রায় তা করেছেন। এটা প্রমানীত হয়েছে, উনার ব্যাক্তিগত কর্মকর্তা ঘুষ কেলেংকারীর দায়ে গ্রেফতার হওয়ার পর। এখন যদি শিক্ষামন্ত্রী সৎ লোক হন তাহলে তার পদত্যাগ করাই উচিত। আর যদি না করেন তবে তিনি সৎ কি না! তা নিয়ে প্রশ্ন উঠাই স্বাভাবিক।
সাধারণ মানুষ মনে করেন, বর্তমান সরকারের সবচেয়ে প্রশংসার দাবিদার মন্ত্রানলায় ছিল শিক্ষা মন্ত্রনালয়। এখন দেখা যাচ্ছে সবচেয়ে দূর্নীতিগ্রস্থ মন্ত্রনালয় হচ্ছে শিক্ষামন্ত্রনালয়। আর এই কাজটি করেছেন শিক্ষামন্ত্রই। সতুরাং নৈতিক কারণেই তার পদত্যাগ করা দরকার।
ড. এ কে এম রিপন আনসারী
এডিটর ইনচীফ
গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম