বাংলাদেশে গার্মেন্টস কারখানায় শ্রমিকের জীবনের ঝুঁকি কমাতে পদক্ষেপ নিতে একটি বহুজাতিক পোশাক ব্র্যান্ড ২০ লাখ ডলার অর্থ দিতে রাজি হয়েছে।
দুটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক ইউনিয়ন এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে মামলা দায়ের করেছিল। এক সমঝোতার অংশ হিসেবে ১৫০টি কারখানায় শ্রমিকের ঝুঁকি কামতে এই অর্থ ব্যয় করা হবে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, এই পোশাক ব্র্যান্ডের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও ইউনি নামের ঐ শ্রমিক ইউনিয়ন দুটি অভিযোগ করেছিল, ওই ব্র্যান্ড গার্মেন্টস কারখানায় ঝুঁকি কমাতে সময়মত পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে হাজার হাজার শ্রমিক এখনও বিপজ্জনক পরিবেশের মধ্যে কাজ করছেন।
রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো নিরাপদ করার উদ্যোগ শুরু হয়। এই উদ্যোগ আসে প্রথমে বিদেশিদের দিক থেকে।
আন্তর্জাতিক শ্রমিক এবং মানবাধিকার সংগঠনের চাপে পড়ে এই উদ্যোগে সামিল হয় ইউরোপ এবং আমেরিকার ক্রেতারা। সাড়ে ৩০০০ কারখানায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কার্যক্রম শুরু হয়।
এই কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ভবন কতটা নিরাপদ সেটি পরীক্ষা করা।পাশাপাশি কারখানার বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ঝুঁকি মুক্ত করা এবং অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিক আছে কিনা সেটি পরীক্ষা করা।