ছাত্রী নিপীড়নের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতাদের বিচারের দাবিতে কালো কাপড়ে মুখ ঢাকল সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য। গতকাল রোববার বিকেলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ভাস্কর্যের চোখ-মুখ কালো কাপড়ে ঢেকে দেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের করা মামলা তুলে নেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে।
এর আগে দুপুরে একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মী, ডাকসুর দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও রাজধানীর সাত কলেজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এই প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলেছেন।
অধিভুক্তি বাতিলের দাবি জানাতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হুমকি-ধমকি ও ছাত্রীরা নিপীড়নের শিকার হন। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের আটজন হল পর্যায়ের নেতাকে চিহ্নিত করে তাঁদের বিচারের দাবিতে প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থীদের বেঁধে দেওয়া সময় গতকাল শেষ হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, এখনো প্রশাসন দাবি পূরণ করেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামীকাল মঙ্গলবার উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।
গতকাল দুপুরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি মল চত্বর ঘুরে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, কলাভবন, টিএসসি, আইন অনুষদ হয়ে মোকাররম ভবনে গিয়ে সমাবেশ করে। মিছিল থেকে দায়িত্ব পালনে ‘ব্যর্থ’ প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান তোলা হয়।
মোকাররম ভবনের সামনে সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। কিন্তু আন্দোলনকারী কেউই অজ্ঞাতনামা নন। প্রত্যেকের ছবি ফেসবুক, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। হয় আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে, নইলে মামলা তুলে নিতে হবে।
মিছিলটি পরে কার্জন হল ঘুরে শেষ হয়। শিক্ষার্থীরা টিএসসিতে এসে রাজু ভাস্কর্যের চোখ-মুখ কালো কাপড়ে ঢেকে দেন। ভাস্কর্যের গলায় তাঁদের দাবিসংবলিত প্ল্যাকার্ড টানিয়ে রাখা হয়েছে। তাতে লেখা, ‘যৌন নিপীড়ক ছাত্রলীগ নেতাদের বহিষ্কার করতে হবে’, ‘অজ্ঞাতনামা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে’।