পাঁচ ম্যাচে পাঁচ জয়। জিম্বাবুয়েকে ধবলধোলাই। মাঠে ভালো করার পুরস্কার র্যাঙ্কিংয়েও পেল বাংলাদেশ। কাল প্রকাশিত সর্বশেষ আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ আছে আগের নবম স্থানেই। তবে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিয়েছে মাশরাফিরা। সিরিজ শুরুর আগে দুই দলের রেটিং পয়েন্টের পার্থক্য ছিল ১১, সিরিজ শেষে সেটি এখন ২২। তবে সাত ও আটের দল নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে এখনো ২১ পয়েন্ট পেছনে বাংলাদেশ।.
ভালো পারফরম্যান্সের প্রভাব পড়েছে ব্যক্তিগত র্যাঙ্কিংয়েও। সিরিজে ১৩৬ রানে ১১ উইকেট নিয়ে ২০১০ সালের পর আবার বোলিং র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ পাঁচে উঠে এসেছেন সাকিব আল হাসান। ওয়ানডের সাবেক এক নম্বর বোলারের সঙ্গে যৌথভাবে পঞ্চম স্থানে আছেন অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার মিচেল জনসন। সিরিজ শুরুর আগে ২১ নম্বরে ছিলেন সাকিব। পাঁচ ম্যাচে ৯ উইকেট, সিরিজ শুরুর আগে ৩৬ নম্বরে থাকা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা উঠে এসেছেন ২১ নম্বরে। তিন ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়া বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানি উঠে এসেছেন ৭৪ নম্বরে। নিষিদ্ধ পাকিস্তানি অফ স্পিনার সাঈদ আজমল ধরে রেখেছেন এক নম্বর স্থান।
ব্যাটিংয়েও বাংলাদেশের সেরা সাকিব আল হাসান। তবে ৩৩ নম্বরে সাকিবের সঙ্গে আছেন মুশফিকুর রহিমও। সিরিজের পারফরম্যান্স মুশফিককে এগিয়ে দিয়েছে সাত ধাপ। প্রথম ওয়ানডেতে সেঞ্চুরির পর ২২ নম্বরে উঠে যাওয়া সাকিব আবার পিছিয়েছেন শেষ চার ম্যাচে মাত্র ৪১ রান করে।
ব্যাটিংটা আরেকটু ভালো হলে ওয়ানডে অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানটাও হয়তো পুনরুদ্ধার করতে পারতেন সাকিব। ৪২ পয়েন্ট বেড়ে তাঁর রেটিং পয়েন্ট এখন ৪০৩। বাংলাদেশের অলরাউন্ডার আছেন তিনেই। এক ও দুইয়ে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস (৪১৯) ও মোহাম্মদ হাফিজ (৪১১)।