লেখক :এম আরমান খান জয়: রাজনীতিবিদ, নেতা, বন্ধু, সংগঠক, সাধারণ মানুষ, শিক্ষাবিদ, দেশপ্রেমিক, অসাম্প্রদায়িক মনোভাব, উদারতা যে দিক হতে বিবেচনা করা হোক না কেন, নিবিড়ি পর্যালোচনায় ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নাইম যে কোন বিবেচনায় অনবদ্য, নিরূপম এবং অসাধারণ ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যমন্ডিত নিদাঘ চরিত্রের অধিকারী একজন প্রমুগ্ধ যুবলীগ নেতা। একজন মানুষকে যে সকল গুনাবলী উন্নত রাজনীতিবিদ, বিখ্যাত নেতা এবং আদর্শ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে তার সব গুণাবলী ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নাইমের রয়েছে। ক্ষমতার বিজ্ঞোচিত ব্যবহারে তার মত সুদক্ষ নেতার বড় অভাবে এ দেশে। অহংবোধ, প্রতিশোধ পরায়নহীন মনোভাব, বলিষ্ঠ চরিত্রের পাহাড়সম দৃঢ়তা তাকে গড়ে তুলেছে একজন আকর্ষণীয় মানুষ হিসেবে। যেই তার সান্নিধ্যে গিয়েছেন সেই মুগ্ধ হয়েছেন কোন না কোনভাবে। যা তাকে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমানে এ কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নাইম কে চেনেন না, এমন মানুষ বাংলাদেশে খুব কম। গোপালগঞ্জে তিনি অবিসংবাদিত নেতা এবং নির্মল চরিত্রের একজন অনবদ্য মানুষ হিসেবে পরিচিত। তিনি একজন খাঁটি মানুষ, খাঁটি বন্ধু, যার চিন্তা চেতনা পাহাড়ি সবুজের অন্তহীন প্রশান্তির মত প্রশস্ত এবং প্রকৃতির মত আকর্ষণীয়। রাজনীতি হতে শুরু করে প্রাত্যাহিক জীবনের প্রত্যেকটি স্তরে ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নাইম মানবিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত একজন উদার মনের পরিচ্ছন্ন মানুষ। গ্রহণের বিশাল ক্ষমতা তাঁকে আলোর মতো নিবিড় আর আকাশের মতো অপরিমেয় করে তুলেছে। সময় তার জীবনের অবয়ব, কর্ম অলঙ্কার। তার কাছে জীবন প্রকৃতির দান কিন্তু উন্নত জীবন-যাপন কর্মের উপহার। তাই তিনি জীবনকে শুধু সময় দিয়ে নয়, কর্ম ও অধ্যবসায়ের সমন্বিত প্রতিবিম্বে বিভূষিত করার প্রত্যয়ে দৃপ্ত রাখাকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছার অন্যতমম উপায় মনে করেন। সবাইকে এমনই উপদেশ দেন তিনি। ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নাইম একজন ভালো বন্ধু। আদর্শ মানুষ না হলে কারও পক্ষে ভালো বন্ধু হওয়া সম্ভব নয়। কাজ, আনন্দ, বিশ্রাম ও সাংস্কৃতিক অনুপ্রসÑ সবখানে তিনি সাবলীল, সবসময় নান্দনিক। অহঙ্কার করার সকল উপাদান থাকা সত্ত্বেও তিনি সাধারণে মিশে যাবার প্রাবল্যে উদ্বেল। এত উদার, নিরহঙ্কার, অমায়িক ও সজ্জন ব্যক্তি বর্তমানে বিরল। অনেকের মাঝে তাঁকে অনুকরণ করার ইচ্ছা দেখেছি কিন্তু কিন্তু সম্পূর্ণভাবে তাঁকে অনুকরণ করা কারও পক্ষে সম্ভব হয় না। তিনি অনন্য ও ব্যতিক্রমী ব্যক্তি। অনুসারী, ভক্ত এবং সহকর্মীদের কাছে তাঁর জীবন ও কর্ম প্রেরণার আলেক্ষ্য। তিনি সবার সাথে ভালো আচরণ করার চেষ্টা করেন। যা একজন রাজনীতিবিদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তিনি মেধাবী, বুদ্ধিমান ও অমায়িক হিসেবে পরিচিত। ব্যবহারে যেমন বিনয়ী তেমনি ধীর। আলোচনায় শান্ত কিন্তু যৌক্তিক। আচরণে শিষ্ট কিন্তু বিচক্ষণতায় তীক্ষè। দুর্বলের বন্ধু, অত্যচারিতের প্রতি কঠোর। তার দৈহিক গড়ন শেখ রক্তধারায় অবগাহিত। চেহারায় সবাক মাধুর্য্য অনিবার্য মুগ্ধতার আদুরে লাস্য যেন। তার এলাকায় এলাকায় শেখ পরিবার যেমন প্রভাবশালী তেমনি সৌহার্দ্যময় ও দুঃস্থ বান্ধব। তাঁর কণ্ঠ মোলায়েম ও মার্জিত। সহজে কারও সাথে রূঢ় ভাষায় কথা বলেন না। সকল সহযাত্রী ও সতীর্থ তাকে বিনয়ী, পরপোকারী এবং বিপদের সহায়ক পরবম বন্ধু মনে করতেন। সিনিয়র-জুনিয়র সবার প্রতি যথাযোগ্য আচরণ এবং বিনয়ের সাথে রাজকীয় জৌলুসের মিশ্রণ হিসেবে ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নাইম কে বিরল মাধুর্য্যে ম-িত করে তুলেছিল
তার কয়েকজন সহযাত্রীর ও ভক্তদের ভাষায়, ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নাইম হলেন মেধাবী, ধীর, ভদ্র, সজ্জন এবং সহানুভূতিশীল। গোপালগঞ্জে অনেকের আর্থিক, সহ ভিবিন্ন সংকটেও ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নাইম উদার মনে এগিয়ে এসেছেন। তিনি নিজের ক্ষতি করতে পারেন, তবে অন্য কারও নয়। সৃষ্টির সব কিছুর প্রতি তিনি মমত্বশীল। আমাদের চারিপাশে যা আছে সব কিছুতে তার দৃষ্টি আলোর মতো অবিরাম, বৃষ্টির মতো স্নাত, বিকেলের রোদের মতো ঈষদুষ্ণ।
কৃতজ্ঞতাকে মানবতার সর্বোৎকৃষ্ট প্রকাশ বলা হয়। ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নাইম কৃতজ্ঞতামনস্কতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
মূলত ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নাইম রাজনীতিবিদ হয়েও নিরপেক্ষতার ভূষণ। রাজনীতি বা দলের প্রতি অনুগত থেকে কীভাবে দেশের উন্নয়ন করা যায় সেটিই রাজনীতিক আদর্শের গন্তব্য। এক কথায় বলা যায়, রাজনীতিক দলের সক্রিয় নেতা হয়েও ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নাইম নিরপেক্ষতা সর্বাঙ্গীন সুন্দর। তাঁর ভাষা, কথা ও প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব অসাধারণ। যে কোনো মুহূর্তে যে কোন বিষয়ের উপর যে কোনো প্রশ্নের এমন উত্তর দেন যা প্রশ্নকারী, শ্রোতা এবং পক্ষ-বিপক্ষ সবাইকে সন্তুষ্ট করার উপাদানে ভরপুর থাকে। কারও প্রতি বিদ্বেষ প্রকাশ পায় না।’
সময়বোধ ও কর্তব্যপরায়নতার উজ্জ্বল আলেখ্য ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নাইম । যেখানে থাকুন এবং যে কাজই করুন না কেন, সময়মত পূর্ব নির্ধারিত স্থানে গিয়ে হাজির হন। তিনি রাজনীতি করেন, নিজস্ব অফিস করেন, সভা সমিতি করেন, দর্শনার্থীদের সময় দেন; পরিবার-পরিজন আছে, তাদেরকেও পর্যাপ্ত সময় দেন এতকিছুর পরও সবকিছু কীভাবে যথাসময়ে করেন ভেবে বিস্মিত হই।”
তিনি গোপালগঞ্জ জেলার বসবাসকারী সকল জনগোষ্ঠীর আত্মমর্যাদা, সুযোগ, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, ভ্রাতৃত্ববোধ, শান্তি এবং সুবিমল পরিবেশ সৃষ্টি করার লক্ষে কাজ করছেন। যে কোন মূল্যে তিনি এগুলো করার দৃঢ় প্রত্যয়ে রাতদিন কঠোর শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। আমি মনে করি এ বিষয়ে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবার উচিত তাঁকে ঐকান্তিকভাবে সহায়তা করা। যাতে তিনি একটি স্বপ্নময় ভ্রাতৃপ্রতিম ও সম্প্রীতিময় জেলা গড়ে তুলতে পারেন। যেখানে সব গোষ্ঠীর লোক জীবনকে পরিপূর্ণ শান্তিতে উপভোগ করতে পারবেন। থাকবে না কোন দ্বেষ, ক্লেশ, হানাহানি।
ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নাইম হাস্যমূখের একজন অমায়িক ব্যক্তি। বলা হয় যিনি হাসতে পারেন তিনি পৃথিবীর আনন্দ, ¯্রষ্টা তাকে পৃথিবীকে বাগানময় করার জন্যই প্রেরণ করেছেন। ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নাইম ও তেমন এক বিরল প্রতিভার অধিকারী হাস্যমুখর ব্যক্তিত্ব। জীবনকে কর্মনিষ্ঠার মাধ্যমে সততার আলয়ে পরিচালনা করেন বলে তাঁর মুখে হাসির ছটা মেঘহীন রূপোলি বিকেলে মতো অবিকল লেপ্টে থাকে প্রকৃতির পরতে পরতে। তাঁর কাজ মমতায় মমতায় উদ্বেল, শাসনবিন্দু উদারতার সৌকর্ষ্যে মুখর, গ্রহণ ক্ষমতা আলোর মতো মুগ্ধকর। তিনি স্বাচ্ছন্দ্যে কোনরূপ অহমিকা বোধ ছাড়া সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যান লক্ষ্যে। ব্যাঘাত ঘটে না সংসার জীবনের। সময় দেন সবাইকে যার যেমন প্রাপ্য। উপস্থিত হন যেখানে প্রয়োজন। এত কর্মব্যস্ততার মাঝেও মুখের হাসির মলিনতা নেই।
আমার মতে সময়কে যদি কর্মের মাধ্যমে প্রগতিভূত সৃষ্টির প্রতি অনুগত রেখে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য অধ্যবসায়-প্রসূত অদম্যতা বিমূর্ত করা যায়, তাহলে সে ব্যক্তি বা ব্যক্তি সমষ্টির কাছে কোনো কিছু অসম্ভব নয়। কাজের প্রতি নিষ্ঠা, সময়ের প্রতি সতর্কতা শেখার প্রতি আগ্রহ, সৃষ্টির প্রতি প্রেম, মানুষের প্রতি ব্যবহার দিয়ে যদি কোনো ব্যক্তিকে বিচার করা হয়, তাহলে ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নাইম নিঃসন্দেহে একজন সময় উপযোগী আদর্শ মানুষ।
ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নাইমের মত বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী অনবদ্য এক নেতার অবয়ব রচনা দূরে থাক, কর্মচাঞ্চল্যের একটি মুহূর্তের প্রকাশও এ স্বল্প পরিসরে আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
উল্লেখ,১২.১১.২০১৭ তারিখে গোপালগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ক্লাব ও গোপালগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের নেতাকর্মীদেও সাথে এক সৌজন্য সাক্ষৎ করেন ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নাইম । নেতা কর্মীদের সাথে আমি ও ছিলাম । যদিও আগের থেকেই তার সম্পর্কে কমবেশি ধারনা ছিল, কিন্তু সরাসরি দেখা ও কথার বলার পওে তার সম্পর্কে আমার এ লেখার অনুপ্রেরনা জাগ্রত হয় । শুভ কামনা থাকবে এ ভালো মানুষটির প্রতি । ভালো থাকুক প্রিয় মানুষটি । ভালো থাকুক সবার প্রিয় মানুষ গুলো ।