গত ১ নভেম্বর সারাদেশে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনার চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মূল কারণ জানানো হয়নি।
বুধবার দুপুরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ড. আহমেদ কায়কাউসকে প্রধান করে গঠিত ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মূল কারণ কী তা জানানো হয়নি। বিদ্যুৎ প্রবাহ বা আন্ডার ফ্রিকোয়েন্সির কারণে এ বিপর্যয় ঘটেছিল বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে ঠিক কোথা থেকে এ সমস্যার উৎপত্তি তাও নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিড এখনো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তিনি জাতীয় গ্রিডের ঝুঁকি কমাতে সরকার দ্রুত পরামর্শক নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানান।
তিনি বলেন, স্বল্প মেয়াদের জন্য আমরা পরামর্শক নিয়োগ করতে যাচ্ছি। পাওয়ার গ্রিড তাদের বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধন্ত নিয়েছে, দীর্ঘমেয়াদের জন্যও আমরা পরমর্শক নিয়োগ দেবো।
এদিকে প্রতিবেদনে তদন্ত কমিটি ভবিষ্যতে এ ধরনের বিপর্যয় রোধে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী কিছু সুপারিশ করেছে। সুপারিশে বলা হয়, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা কিছুটা সনাতন ও কিছুটা আধুনিক পদ্ধতির।
প্রসঙ্গত, গত ১ নভেম্বর বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিড বিকল হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। ওইদিন বেলা ১১টা ২৮ মিনিটে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা বিদ্যুৎ সঞ্চালন সাবস্টেশনে সমস্যা দেখা দিলে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রভাবে পর্যায়ক্রমে দেশের সব কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধ্যার পর থেকে রাতের মধ্যে পর্যায়ক্রমে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।