সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে সম্পর্কের সংজ্ঞা। এই প্রজন্মের অনেক ‘কমিটমেন্ট ফোবিক’ ছেলেমেয়েই এখন সম্পর্কে দায়বদ্ধতা চান না। কিন্তু ওপেন রিলেশনশিপের প্রবণতা বাড়লেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই সব সম্পর্কের পরিণতি খুব একটা সুখকর হয় না। তাই যদি ভেবে থাকেন ওপেন রিলেশনশিপে যাবেন তার আগে এই বিষয়গুলো অবশ্যই যাচাই করে নিন।
ওপেন রিলেশনশিপ সম্পর্কে সম্যক ধারণা রয়েছে তো? নাকি শুধু গ্ল্যামারাস লাগে বলে এমন সম্পর্ক চাইছেন? ওপেন রিলেশনশিপ ঠিক কী, কেমন হয় এই সব সম্পর্কের সমীকরণ, কেন আপনি এই ধরনের সম্পর্ক চাইছেন সে সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই ওপেন রিলেশনশিপের কথা ভাবুন।
ওপেন রিলেশনশিপে যাওয়ার আগে দুজনেই নিজেদের আইডিয়া, ঠিক কী চান সে সম্পর্কে আলোচনা করে নিন। এমনটা হতেই পারে আপনি ঠিক যা চাইছেন তা উনি চান না। ঠিক কেমন হবে দুজনের সম্পর্কের সমীকরণ তা খোলাখুলি আলোচনা করে তবেই সম্পর্কে যান।
সম্পর্কে যৌন ঈর্ষা খুবই স্বাভাবিক। ওপেন রিলেশনশিপে কিন্তু এর কোনও জায়গা নেই। আপনার সঙ্গী আপনাকে যতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন, ততটাই গুরুত্ব অন্য কাউকে দিলে ঈর্ষাকাতর হয়ে পড়েবেন না তো? অনেকেই ভাবেন হবেন না, কিন্তু বাস্তবে এই ঈর্ষাকাতরতাই অনেক ওপেন রিলেশনশিপের সমীকরণ বদলে দেয়।
ওপেন রিলেশনশিপের রুল দুজনের সম্মতিতেই সেট করা হয়। কিন্তু দায়বদ্ধতা না থাকায় অনেক সময়ই একজন আরেকজনের উপর কতৃত্ব করতে থাকেন। এমনটা হলে কী ভাবে সামলাবেন, কী ভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবেন তা আগে থেকে ভেবে না রাখলে সম্পর্ক খুব খারাপ জায়গায় যেতে পারে।
যদি কখনও বিয়ের কথা ভাবেন? একগামী সম্পর্ক চান কিন্তু অপরজন যদি তেমনটা না চান তা হলে? এ ক্ষেত্রে কী হবে সম্পর্কের সমীকরণ? অধিকাংশ ওপেন রিলেশনশিপে ছেদ পড়ে এ ভাবেই। আগে থেকেই এই বিষয়ে পরিষ্কার হয়ে নিন।