ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী যে কোনও মূল্যে গরু পাচার আটকাতে সেদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা আদৌ বাস্তবায়ন করা যাবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বাহিনীর বর্তমান আর প্রাক্তন অফিসাররা।
সোমবার বি এস এফের প্রতিষ্ঠা দিবসে ভাষণ দিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচার বন্ধে সবরকম চেষ্টা করতে হবে।
বি এস এফ বলছে, এবছর সাড়ে পঁচাশি হাজার গরু পাচার হওয়ার সময়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আটকানো হয়েছে আর গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৫২ জন সন্দেহভাজন পাচারকারী।
তবে বি এস এফ স্বীকার করে, পাচার হয়ে যাওয়া গরুর সংখ্যা আরও বহু গুণ বেশী। কিন্তু গরু পাচার পুরোপুরি বন্ধ করা বাস্তবে খুবই কঠিন, বলছেন বাহিনীর অনেক অফিসার।
তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর এই ভাষণ নিয়ে বাহিনীর কোনও কর্মকর্তাই আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করতে চান নি।
একসময়ে দুই সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর মধ্যে যোগাযোগ রাখার মূল দায়িত্ব ছিল বি এস এফের যে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ওপরে, সেই সলিল কুমার মিত্র বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন গরু পাচার সম্পূর্ণ বন্ধ করার ক্ষেত্রে বি এস এফের দায়িত্বটা অনেকটাই সীমিত।
তিনি বলছিলেন, এই সীমান্ত দিয়ে যে গরু পাচার হয়, সেগুলো পশ্চিমবঙ্গের নয়। মূলত আনা হয় পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ থেকে।
“এই যে শয়ে শয়ে কিলোমিটার ট্রাকে চাপিয়ে গরু নিয়ে আসা হয়, সেই রাস্তায় তো পুলিশ, শুল্ক বিভাগ, এরাও থাকে।
“তারা যদি সঠিক ভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে, তাহলে তো গরুগুলো সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছতেই পারে না,” বলেন মি: মিত্র।
ভারত আর বাংলাদেশের মধ্যে গরু পাচারের একটা আইনি সমস্যাও রয়েছে। ভারত থেকে জবাই করার জন্য গরু বিদেশে পাঠানো নিষেধ। তবে বাংলাদেশে সেটা আমদানি করতে কোনও আইনি জটিলতা নেই।
তাই ভারতে যেটা গরু চোরাচালান, বাংলাদেশে সেটা গরু ব্যবসা।
বি এস এপথের অনেক অফিসারই মনে করেন, পাচার রোখার চেষ্টা না করে বরং ভারত সরকারের উচিত কীভাবে আইন মেনে গরু বাংলাদেশে পাঠানো যায়, সেটা নিয়ে চিন্তা করা উচিত।
সলিল কুমার মিত্র বলেন, যে গরুগুলো পাচারের জন্য নিয়ে আসা হয়, তারা না দেয় দুধ, না পারে চাষের কাজ করতে। তাই মাংস প্রসেসিং কেন্দ্র খোলা যায় কি না সেটা ভেবে দেখা উচিত সরকারের।
“ভারত সরকারকে বাস্তব চিন্তা করতে হবে, যদিও কয়েকটা রাজনৈতিক দল হয়ত মতাদর্শগতভাবে এটা চাইবে না,” তিনি বলেন।
সোমবার বি এস এফের প্রতিষ্ঠা দিবসে ভাষণ দিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচার বন্ধে সবরকম চেষ্টা করতে হবে।
বি এস এফ বলছে, এবছর সাড়ে পঁচাশি হাজার গরু পাচার হওয়ার সময়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আটকানো হয়েছে আর গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৫২ জন সন্দেহভাজন পাচারকারী।
তবে বি এস এফ স্বীকার করে, পাচার হয়ে যাওয়া গরুর সংখ্যা আরও বহু গুণ বেশী। কিন্তু গরু পাচার পুরোপুরি বন্ধ করা বাস্তবে খুবই কঠিন, বলছেন বাহিনীর অনেক অফিসার।
তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর এই ভাষণ নিয়ে বাহিনীর কোনও কর্মকর্তাই আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করতে চান নি।
একসময়ে দুই সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর মধ্যে যোগাযোগ রাখার মূল দায়িত্ব ছিল বি এস এফের যে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ওপরে, সেই সলিল কুমার মিত্র বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন গরু পাচার সম্পূর্ণ বন্ধ করার ক্ষেত্রে বি এস এফের দায়িত্বটা অনেকটাই সীমিত।
তিনি বলছিলেন, এই সীমান্ত দিয়ে যে গরু পাচার হয়, সেগুলো পশ্চিমবঙ্গের নয়। মূলত আনা হয় পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ থেকে।
“এই যে শয়ে শয়ে কিলোমিটার ট্রাকে চাপিয়ে গরু নিয়ে আসা হয়, সেই রাস্তায় তো পুলিশ, শুল্ক বিভাগ, এরাও থাকে।
“তারা যদি সঠিক ভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে, তাহলে তো গরুগুলো সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছতেই পারে না,” বলেন মি: মিত্র।
ভারত আর বাংলাদেশের মধ্যে গরু পাচারের একটা আইনি সমস্যাও রয়েছে। ভারত থেকে জবাই করার জন্য গরু বিদেশে পাঠানো নিষেধ। তবে বাংলাদেশে সেটা আমদানি করতে কোনও আইনি জটিলতা নেই।
তাই ভারতে যেটা গরু চোরাচালান, বাংলাদেশে সেটা গরু ব্যবসা।
বি এস এপথের অনেক অফিসারই মনে করেন, পাচার রোখার চেষ্টা না করে বরং ভারত সরকারের উচিত কীভাবে আইন মেনে গরু বাংলাদেশে পাঠানো যায়, সেটা নিয়ে চিন্তা করা উচিত।
সলিল কুমার মিত্র বলেন, যে গরুগুলো পাচারের জন্য নিয়ে আসা হয়, তারা না দেয় দুধ, না পারে চাষের কাজ করতে। তাই মাংস প্রসেসিং কেন্দ্র খোলা যায় কি না সেটা ভেবে দেখা উচিত সরকারের।
“ভারত সরকারকে বাস্তব চিন্তা করতে হবে, যদিও কয়েকটা রাজনৈতিক দল হয়ত মতাদর্শগতভাবে এটা চাইবে না,” তিনি বলেন।