বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের শেষদিনে আজ রোববার আখেরি মোনাজাত। ভোর পাঁচটার দিকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার এলাকা থেকে ইজতেমা ময়দানে এসে পৌঁছেছেন জয়নাল আবেদিন (৫৫)। তাঁরা ১৫ জনের একটি দল টঙ্গীতে এসেছেন। তাঁদের মতো আরও অনেকেই ইজতেমা ময়দানে এসেছেন আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে।
ফজরের নামাজের পর থেকে প্রস্তুতিমূলক বয়ান করেন মাওলানা আনিসুর রহমান। বেলা ১১টার দিকে মোনাজাত হবে। এবার আখেরি মোনাজাত ও হেদায়েতি বয়ান দুইই হবে বাংলায়।
আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ।
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার থেকে মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমা ময়দানে এসেছেন মোশাররফ হোসেন নামের এক তরুণ। তিনি জানান, গত বছর ইজতেমায় তিন দিন অবস্থান করেছিলেন। এবার আসতে পারেননি। তাই আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে তাঁরা পাঁচজন বন্ধু টঙ্গীতে এসেছেন।
প্রায় দুই দশক ধরে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেছেন, ভারতের প্রখ্যাত আলেম ও বিশ্ব তাবলিগ জামাতের আমির মাওলানা জোবায়েরুল হাসান। তিনি মারা যাওয়ার পর মোনাজাত পরিচালনা করেন ভারতের আরেক শীর্ষস্থানীয় তাবলিগ মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভি। তবে মাওলানা সাদকে নিয়ে বিতর্ক ওঠার পর তিনি এবার টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন না। এবার আখেরি মোনাজাত ও হেদায়তি বয়ান দুইই হবে বাংলায়।
বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য ও মুরুব্বি প্রকৌশলী মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, এবার আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বাংলাদেশের কাকরাইলের মাওলানা হাফেজ জোবায়ের। আখেরি মোনাজাতের আগে হেদায়েতি বয়ান করবেন মাওলানা আব্দুল মতিন। গত শুক্রবার রাতে তাবলীগ জামাতের মুরুব্বিদের নিয়ে এক বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠকে ২০১৯ সালের ১১ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, প্রথম পর্ব হবে ১১,১২ ও ১৩ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ১৮,১৯ ও ২০ জানুয়ারি।
বিশেষ বাস ও ট্রেন সার্ভিস: জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো. রাহাত হাসনাত জানান, আখেরি মোনাজাতের দিন মুসল্লিদের সুবিধার্থে ১৯টি বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে। এ ছাড়া সব আন্তনগর ট্রেন টঙ্গীতে যাত্রাবিরতি করবে। বিআরটিসি দুই শতাধিক স্পেশাল বাস সার্ভিস চালু করেছে। আখেরি মোনাজাতের দিন ছাড়াও ইজতেমা চলাকালীন টঙ্গী স্টেশনে দ্রুতযানসহ প্রতিটি ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে।