ভারতে ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা আরও একটু বাড়াতে হবে। দেশের পর্যটকদের উদ্দেশে এমন বার্তাই দিল মার্কিন প্রশাসন।
পর্যটকদের কাছে কোন দেশ কতটা নিরাপদ? কোথায় যাওয়া উচিত, আর কোন দেশকে একেবারেই ভ্রমণ-তালিকা থেকে বাদ দিয়ে রাখতে হবে? এ সব পরামর্শ নিয়েই নয়া গাইড-বুক প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রশাসন। বুধবার প্রকাশিত ওই তালিকায় বিশ্বের সব দেশের নামই রয়েছে।
সব ক’টি দেশকে মোট চারটি স্তরে ভাগ হয়েছে। সেখানে ভারত দ্বিতীয় স্তরে রয়েছে। এ দেশে বেড়াতে আসার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে মার্কিন নাগরিকদের। ভারতে অপরাধ এবং সন্ত্রাস ক্রমশ বাড়ছে বলেই এই বাড়তি সতর্কতা। তবে, জম্মু-কাশ্মীরের মতো রাজ্যে যেতে একেবারেই নিষেধ করা হয়েছে। কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, ওই রাজ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষের ঘটনা লেগেই থাকে। ওই বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে মার্কিন নাগরিকদের যাতে পড়তে না হয়, তাই এই সাবধান বার্তা। ভারত-পাক সীমান্তের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনও জায়গাতে যেতেও একই নির্দেশিকা। যদিও, পূর্ব লাদাখ এবং লেহ-কে এই নিষেধের বাইরে রাখা হয়েছে।
পাকিস্তান ওই তালিকার তৃতীয় স্তরে রয়েছে। তৃতীয় স্তরের দেশগুলিতে যাওয়ার আগে বার বার ভেবে দেখতে বলা হয়েছে পর্যটকদের। আফগানিস্তান রয়েছে চতুর্থ স্তরে। ওই স্তরের দেশগুলিতে পর্যটকদের যেতে একেবারেই নিষেধ করেছে মার্কিন বিদেশ দফতর। তারা জানিয়েছে, পুরনো সব তালিকা পাল্টে নয়া এই স্তর বিন্যাস করা হয়েছে। সেখানে সব দেশের নামই আছে। কোন দেশ তাঁদের জন্য কতটা নিরাপদ, সে সম্পর্কে সময়োচিত একটা স্বচ্ছ ধারণা তৈরি করতেই এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলেই তাদের দাবি। একই দেশের মধ্যে বিভিন্ন জায়গা সম্পর্কেও নিরাপত্তা সংক্রান্ত আলাদা আলাদা এবং স্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে ওই তালিকায়।
বিদেশ দফতরের দাবি, ভারতে এই মুহূর্তে যে সব অপরাধ দ্রুত বাড়ছে ধর্ষণ তার মধ্যে অন্যতম। যৌন হেনস্থার মতো নৃশংস অপরাধও পর্যটনস্থলগুলিতে হয়ে থাকে বলেও পর্যটকদের সাবধান করা হয়েছে। ভারতীয় প্রশাসনের রিপোর্টের উল্লেখ করে ওই দাবি করা হয়েছে। পূর্ব-মধ্য ভারতে জঙ্গি হামলার ঘটনাও যে মাঝে মাঝে ঘটে, তালিকায় বলা হয়েছে সে কথাও। জঙ্গিরা পর্যটনস্থল, পরিবহণ হাব, মার্কেট, শপিং মল, সরকারি অফিস যে যে কোনও সময় হামলা চালাতে পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।