বাংলাদেশে যখন শীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ৫০ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ হচ্ছিল তখনই গরমে আশি বছরের রেকর্ড ভাঙ্গল অস্ট্রেলিয়ায়। গত রবিবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরের তাপমাত্রা ছিল ৪৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আমরা যখন শীতে কাঁপছি তখন তাদের মারাত্মক গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। স্বাভাবিকের থেকে প্রায় আট ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা ছিল তাদের। শহরের পশ্চিম প্রান্তের অবস্থা আরও ভয়াবহ ছিল।
বছরের এই সময় গরম একটু বেশিই পড়ে অস্ট্রেলিয়ায়। কিন্তু, এবার যেন বিগত কয়েক দশকের সব হিসাব ভেঙে গিয়েছে। গত কাল, রবিবার আশি বছরের মধ্যে উষ্ণতম দিন কাটিয়েছে সিডনি। অস্ট্রেলিয়ার অন্য শহরগুলির ছবিটাও অনেকটা একই রকম।
দক্ষিণ-পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া শহরের ফ্রিওয়ে নামের একটি পিচঢালা সড়ক গরমে গলতে শুরু করে দিয়েছে।
তবে, এখনই গরম কমার বিষয়ে তেমন কোনো আশার কথা শোনাতে পারেনি দেশটির আবহাওয়া অফিস। আগামী কিছু দিন গরম এমনই থাকবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
হিসাব বলছে, শেষ বার অস্ট্রেলিয়ার তাপমাত্রা ৪৭-এর কোটায় ঢুকেছিল ১৯৩৯ সালে। সেবার তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪৭. ৮ ডিগ্রিতে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, ২০১৬ সালের ডিসেম্বর এবং ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেও তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছেছিল। কিন্তু, স্বাভাবিক ভাবে বছরের এই সময়টা তাপমাত্রা থাকে ৩৬ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো।
প্রবল গরমের কারণে ইতিমধ্যেই নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। দেশটির গৃহহীনদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেশটির সরকারের তরফে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
র্বাঞ্চলে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ শীত পড়ছে। নিউ হ্যাম্পশায়ারের তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির নিচে মাইনাস ৭৩ ডিগ্রিতে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই নেমে এসেছে বম্ব সাইক্লোন নামের শীতকালীন ঝড়। যার সঙ্গে ভারী তুষারপাত ও ঠাণ্ডা ঝড়ো হাওয়ায় বিপর্যস্ত মার্কিন জনজীবন।