হাফিজুল ইসলাম লস্কর :: সিলেট জুড়ে আতঙ্কের নাম এখন ঐতিহ্যবাহী টিলাগড়। এই ঐতিহ্যবাহী এলাকায় অবস্থিত সিলেট তথা দেশের প্রাচীন ও সুনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্টান এমসি কলেজের।
এছাড়া রয়েছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারী কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসহ বেশকিছু নামীদামী প্রতিষ্ঠান। এসব মিলিয়েই একসময় বেশ আলোচনায় ছিল এই টিলাগড় এলাকা। একসময় সিলেটের ছাত্র রাজনীতির পীঠস্থান বলে আখ্যায়িত করা হত এই টিলাগড়কে।
কিন্তু সময়ের আবর্তে ঐতিহ্যবাহী টিলাগড় এলাকাটি তার আভিজাত্য ও সুনাম হারিয়ে এখন সিলেটজুড়ে এক আতঙ্কের নামে পরিনত হয়েছে। বর্তমানে মার্ডারজোন নামে পরিচিতি পেয়েছে।
গত বছর বা তার আগের বছরের ঘটনাগুলো বাদ দিলেও গত তিনমাসে এই টিলাগড়ে ছাত্রলীগের গ্রুপিং এর বলি হলো তরতাজা তিনটি প্রাণ। হতভাগ্য তিন জননী হারিয়েছে তাদের বুকের ধন।
নিহতরা হচ্ছেন জাকারিয়া মোহাম্মদ মাসুম, ওমর আহমদ মিয়াদ ও সর্বশেষ তানিম খান। এর মধ্যে মাসুম ছিলেন ছাত্রলীগের সুরমা গ্রুপের কর্মী। হামলাকারীরা সরাসরি টিলাগড়কেন্দ্রীক ছাত্ররাজনীতির সাথে জড়িত।
এর আগে গত ১৬ অক্টোবর প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ছাত্রলীগের হিরন মাহমুদ নিপু গ্রুপের সক্রিয় কর্মী এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ওমর আহমদ মিয়াদকে। আর রবিবার (০৭ জানুয়ারি) নিজ দলের ক্যাডারদের হামলায় খুন হলো ছাত্রলীগ নেতা তানিম খান (২২)।
এ তিন খুনই শুধু নয়। এরও প্রায় ৭ বছর আগে ২০১০ সালের ১২ জুলাই অভ্যন্তরীণ বিরোধের জের ধরে টিলাগড়ে খুন হন এমসি কলেজের গণিত বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী উদয়েন্দু সিংহ পলাশ।
হানাহানি ও গ্রুপিং এর রাজনিতির প্রতিহিংসার কারনেই ঐতিহ্যবাহী অভিজাত এলাকাটি মার্ডার জোন হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করেছে। পরিনত হয়েছে সাধারন আতঙ্কে। এই এলাকা অতিক্রম করতে গিয়ে পথচারি সাধারন মানুষ ভয় আর আতঙ্কে থাকে। অনেকেই ভয়ে টিলাগড় এড়িয়ে চলেন।