শীতের এই আমেজে খাবার মেনুতে পিঠা না হলে আমাদের চলে না। সচরাচরচ আমরা যেসব পিঠা খাই তার বাইরেরও মজাদার পিঠা তৈরী করা যায়। শীতকালে আপনার রসনায় যুক্ত করতে পারেন এমন কিছু পিঠা তৈরীর উপকরণ ও প্রণালী নীচে তুলে ধরা হলো:
পাকান পিঠা:
চালের গুঁড়া আধা কেজি, খেজুরের গুড় ৫০০ গ্রাম, আটা এক পোয়া, তেল আধা কেজি।
খেজুরের গুড় আর এক গ্লাস জল জ্বাল দিয়ে নিতে হবে। তারপর এতে চালের গুঁড়ো ও আটা দিয়ে ঘন করে মিশিয়ে নিতে হবে। কড়াইতে তেল দিয়ে গরম হলে এক চামচ করে পিঠার গোলা ছেড়ে দিতে হবে। পিঠা ফুলে উঠলেই তৈরি হয়ে গেল পাকান পিঠা৷
গোলাপফুল পিঠা:
দুধ ২ কাপ, ময়দা ৩ কাপ, চিনি ৪ টেবিল চামচ, নুন সামান্য, ঘি ২ টেবিল চামচ। সিরার জন্য-চিনি ৩ কাপ জল, দেড় কাপ দারুচিনি ২ টুকরো।
দুধ গরম হলে চিনি, নুন, ময়দা দিয়ে কাই তৈরি করে নিতে হবে। পরে ঠান্ডা হলে অল্প অল্প করে ঘি দিয়ে ভালো করে মথে রুটি বেলে দুই ইঞ্চি ব্যাসে গোল গোল করে কেটে গোলাপ তৈরি করতে হবে। এবার গরম ডুবোতেলে বাদামি রং করে ভেজে সিরায় ছাড়তে হবে।
কলার পিঠা:
বাদাম গুঁড়ো ৩ টেবিল চামচ, পাকা কলা ৪-৫টি, নুন সামান্য, নারকেল কোরা ১-২ কাপ, খেজুরের রস পরিমাণমতো, সয়াবিন তেল (ভাজার জন্য) ১-২ কাপ, ঘি ১ চা-চামচ, চালের আটা ১-২ কাপ।
খেজুরের রস জ্বাল দিয়ে কলা চটকে নিয়ে নুন, বাদাম গুঁড়ো, নারকেল কোরা, ঘি ও চালের আটা দিয়ে মাখিয়ে একটু ঘন গোলা তৈরি করে নিন। এরপর ডুবো তেলে ভেজে নিন। ভাজা কলার পিঠা রসে দিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর পরিবেশন করা যায়।
চিংড়িমাছের পাটিসাপটা:
চালের গুঁড়ো ২৫ গ্রাম, লবন এক চিমটি, ময়দা ১২৫ গ্রাম, ডিম ১টা, দুধ ৩০০ মিলি, মাখন ২৫ গ্রাম, পনির ৪০ গ্রাম, টুকরো করা চিংড়ি মাছ ৫০০ গ্রাম, ১টা পেঁয়াজ, ধনেপাতা ১ টেবিল চামচ কুচোনো, তেল বা মাখন ভাজার জন্য।
প্যানে অলিভ অয়েল গরম করতে হবে এবং পেঁয়াজগুলো তাতে ভাল করে ভাজতে হবে। ২৫ গ্রাম মাখন এবং ২৫ গ্রাম ময়দা মিশিয়ে একটা হালকা মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এর পর এতে ৩০০ মিলি দুধ দিয়ে ঘন না হওয়া পর্যন্ত সমানে নাড়তে হবে। এর পর আঁচ বাড়িয়ে দিয়ে তার মধ্যে পনিরের টুকরো, নুন, লঙ্কা, ১ টেবিল চামচ ধনেপাতা এবং চিংড়ি মাছগুলো দিয়ে দিতে হবে। ময়দা, চালের গুঁড়ো, এক টেবিল চামচ ধনেপাতা এবং একটু নুন দিয়ে বাটিতে ভাল করে মেশাতে হবে। ডিম এবং ৩০০ মিলি দুধ মিশিয়ে একটা ঘন মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। বাকি দুধটা দিয়ে একটা পাতলা মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। প্যানে মাখনটা গরম করতে হবে ধোঁয়া ওঠা পর্যন্ত। প্যানে মিশ্রণের কিছুটা দিয়ে হাতা দিয়ে ঘুরিয়ে পাটিসাপটা-টা তৈরি করতে হবে। নিচের অংশে রং ধরা পর্যন্ত রান্না করতে হবে। ভাজাটাকে নাড়তে হবে এবং আরও কিছু সেকেন্ড ধরে রান্না করতে হবে। চিংড়ি মাছের মিশ্রণটা এর মধ্যে ভরে পরিবেশন করতে হবে।
পোয়াপিঠা:
আতপ চালের গুঁড়ো ১ কাপ, সেদ্ধ চালের গুঁড়ো, ১ কাপ ময়দা, আধা কাপ ডিম, ২টি পেঁয়াজ মিহি কুচি, কাঁচালঙ্কা কুচি, ২ চা চামচ ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, নুন পরিমাণমতো চিনি আধা চা চামচ কুসুম গরম জল পরিমাণমতো, বেকিং পাউডার আধা চা চামচ তেল ভাজার জন্য।
আতপ চাল ও সেদ্ধ চালের গুঁড়া, ময়দা, বেকিং পাউডার, চিনি একসঙ্গে খুব ভালো করে মিলিয়ে নিতে হবে। পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, ধনেপাতা, লবণ একসঙ্গে ভালো করে চটকিয়ে ডিম দিয়ে মাখিয়ে ময়দার মিশ্রণে মেলাতে হবে।একটু পানি দিয়ে গোলা করে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, গোলা যেন খুব পাতলা না হয়ে যায়। তেল গরম করে সিকি কাপ পরিমাণ গোলা ছাড়তে হবে। পিঠা ফুলে উঠলে উল্টিয়ে দিয়ে কাঠি দিয়ে পিঠার মাঝখানে ছিদ্র করে ভেতরের বাতাস বের করে দিতে হবে। পিঠা ভাজা হলে চুলা থেকে নামিয়ে টমেটো সস অথবা গ্রিন চিলি সসের সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট