সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিরাট ভূমিকা রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদও জানান তিনি। আজ সোমবার রাজধানীর রাজারবাগে মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনসে পাঁচ দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে বর্ণাঢ্য পুলিশ প্যারেড পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে জঙ্গি-মাদকের প্রতিকার, বাংলাদেশ পুলিশের অঙ্গীকার- এ স্লোগানে সোমবার সকাল ১০টায় পুলিশ সপ্তাহ ২০১৮-এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও যুদ্ধাপরাধীদের কোনো স্থান নেই। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা যেকোনো দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত। আমরা মনে করি, কোনো দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো স্থিতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। সে জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এবারের পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বাহিনীর সদস্যদের অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৩০ পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম), ৭১ জনকে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২৮ পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম-সেবা) এবং ৫৩ জনকে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা) প্রদান করা হবে।
জঙ্গি ও সন্ত্রাস মোকাবিলায় লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ, পরিদর্শক চৌধুরী মো. আবু কয়ছর এবং পরিদর্শক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামকে বিপিএম-মরণোত্তর পদক প্রদান করা হবে। প্রধানমন্ত্রী তাদের পদক প্রদান করবেন। প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়াম উদ্বোধন, পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) স্টল পরিদর্শন এবং পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কল্যাণ প্যারেডে অংশগ্রহণ করবেন। পুলিশ সপ্তাহের প্যারেডে অধিনায়কের নেতৃত্ব দেবেন পুলিশ সুপার মোয়াজ্জেম হোসেন।