ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তার রাজ্যের সমস্ত ধর্মীয় স্থান, পাবলিক প্লেস থেকে বেআইনি লাউডস্পিকার সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিলেন পুলিশকে। এক্ষেত্রে কোনো ধর্মীয় ভেদাভেদ রাখা হচ্ছে না। মন্দির হোক বা মসজিদ- কোনোক্ষেত্রেই নিয়মের অন্যথা হবে না। রাজ্যে শব্দদূষণ রুখতে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর এই কড়া পদক্ষেপ বলে জানা যাচ্ছে।
সম্প্রতি এলাহাবাদ হাই কোর্টের একটি নির্দেশকে মান্যতা দিতে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ। রাজ্যের শব্দদূষণ সংক্রান্ত আইন মোতাবেক এলাহাবাদ হাই কোর্ট গত সপ্তাহে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়, মন্দির, মসজিদ বা গুরুদ্বার থেকে সমস্ত বেআইনি লাউডস্পিকার খুলে ফেলতে হবে। পাবলিক প্লেসে যেখানে প্রয়োজনীয় অনুমতি ছাড়া লাউডস্পিকার লাগানো হয়েছে, খুলে ফেলতে হবে সেগুলিও।
ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশ এই নির্দেশকে কার্যকর করতে নেমে পড়েছে। সমীক্ষা চালিয়ে সাধারণ মানুষের মতামতও জানতে চাইছে পুলিশ। দেখা হচ্ছে, রাজ্যের কোথায় কত এরকম বেআইনি লাউডস্পিকার লাগানো হয়েছে। সেগুলি সব খুলে ফেলে আদালতকে সেই রিপোর্ট জমা দেবে পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব অরবিন্দ কুমার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, বৈধ লাউডস্পিকারের ক্ষেত্রেও জারি হচ্ছে নতুন নির্দেশিকা। পাবলিক প্লেসে স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ ডেসিবেলের উপর মাইক বাজানো যাবে না। কারো বাড়ি বা ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমিতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ডেসিবেলের বেশি শব্দ করা যাবে না।
মন্দির বা মসজিদ থেকে অবৈধ লাউডস্পিকার খুলে ফেলতে পুলিশের একটি বিশেষ টিম তৈরি করা হয়েছে যাঁরা বিষয়টি সংবেদনশীলতার সঙ্গে দেখবেন, জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। এর পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত লাউডস্পিকারের বৈধতা খতিয়ে দেখতেও ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। দিনরাত এক করে পুলিশের নানা দল রাজ্যজুড়ে শব্দদূষণের বিরুদ্ধে নেমেছে।
প্রতিটি জেলার ম্যাজিস্ট্রেটদের নোটিস পাঠানো হয়েছে, নিজ নিজ এলাকার শিল্পাঞ্চল, বাসভবন ও ধর্মীয় স্থানে কয়টা করে লাউডস্পিকার রয়েছে, সেগুলি বৈধ না অবৈধ- এই সব তথ্য রাজ্য সরকারকে জানাতে। সরকারি নিয়ম না মেনে লাউডস্পিকার বাজালে অভিযুক্তর পাঁচ বছরের জেল, সেই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।