একটি মাত্র পেনি, আমেরিকান মুদ্রা। এর দাম ৩ লাখ ডলার বা প্রায় আড়াই কোটি টাকা! এক পয়সার এমন দাম অবশ্য না হয়ে পারে না। কারণ এটি আমেরিকার প্রথম কপার কয়েনগুলোর একটি। ১৭৯৩ সালে বানানো কয়েনটি ফিলাডেলফিয়ার ইউএস মিন্টে পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি টাম্পায় অনুষ্ঠিত হয় ফ্লোরিডা ইউনাইটেড নুমিসম্যাটিস্টস (এফইউএন) এর বার্ষিক সভা। এটাকে আমেরিকার সর্ববৃহৎ কয়েন ও কারেন্সি সংগ্রাহকদের মেলা বলা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সেখানে তিনটি ঐতিহাসিক কয়েন নিলামে ওঠে। এর মধ্যে একটি একটি পেনির দাম সত্যিই অনেক বেশি। ওইদিন দিন শেষে নিলামে মোট ২৪.৯ মিলিয়ন ডলারের বিক্রি হয়েছে।
ডালাসের হেরিটেজ অকশন্স এর মুদ্রা বিশেষজ্ঞ মার্ক বর্ককার্ডট বলেন, জর্জ ওয়াশিংটনের সময়কার এই এক পয়সা খুঁজে পাওয়া ৫০০টির মতো পেনির একটি।
আরেকটি দামি পয়সার মধ্যে রয়েছে অর্ধেক ডলারের কয়েন। নিউ অরলিয়ান্সে ওটা বাজারে আসে ১৮৩৮ সালে। এটা প্রথম বানানো ২০টি মুদ্রার একটি।
আরেকটি ৪ ডলারের স্বর্ণমুদ্রা, যার নাম ফ্লোইং হেয়ার স্টেলা, বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৭ লাখ ডলারে। এটা সরকারের এক পরীক্ষামূলক মুদ্রা ছিল। আন্তর্জাতিক বাজারে তা ছাড়ার চিন্তা ছিল। বলা যায়, এটা ছিল আজকের ইউরো। তবে শেষ অবধি সরকার এর পরিকল্পনা বাদ দেয়। এ ধরনের স্বর্ণমুদ্রা আর ১৫-২০টার মতো থাকতে পারে। বিরল এবং চমৎকার অবস্থায় থাকায় এগুলোর দাম অনেক বেশি।
মুদ্রা সংগ্রাহকদের ইতিহাস, সময় আর অর্থনৈতিক ইতিহাস বুঝে মুদ্রার দাম দিতে আগ্রহী থাকেন। আর সেই হিসেব থেকেই এক পয়সার দাম উঠেছে আড়াই কোটির মতো।
সূত্র : ফক্স নিউজ