বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘সেক্স ডল’ এর বড় ধরনের বাজার আছে। কারণ, আছে চাহিদা। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় সেই ‘ডল’ এর পাশাপাশি বাজারে দখল দিতে এসেছে ‘সেক্স রোবট’। একাকী পুরুষদের একাকীত্ব ঘোঁচাতে কিংবা যৌনচাহিদা মেটাতে সেক্স ডলের জন্ম। কিন্তু একাকী নারীরা বাদ যাবেন কেন? তাই একাকী নারীদের সঙ্গ দিতে এসেছে পুরুষ ‘সেক্স রোবট’ বা ‘ম্যান বটস’। এক গবেষণায় বলা হয়, নারীদের মধ্যে এই পুরুষ রোবটের চাহিদা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। এমন সময়ও আসতে পারে যখন সঙ্গী বা পুরুষের দরকারই হবে না নারীদের!
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. ক্যাথি ও’নিল সেই আশঙ্কার কথাই জানিয়েছেন। অদূর ভবিষ্যতে ‘ম্যান বটস’-এ মজবেন নারীরা। হয়তো এই যান্ত্রিক পুরুষই তাদের সেরা সঙ্গী হয়ে উঠবে। কেবল একাকীত্ব দূর করাই নয়, ঘরের কাজেও পারদর্শী হবে রোবটগুলো।
গবেষকের মতে, কেবল ভালোবাসা বা যৌনতার বাইরেও তো অনেক কিছু রয়েছে। সঙ্গী যদি ঘরের কাজে হাত বাড়ান তবে তো সোনায় সোহাগা। ব্যস্ত পুরুষরা প্রায়ই এই বাড়তি কাজে এগিয়ে আসতে পারেন না। তাই তাদের চেয়ে রোবটই বেশি কাজের বলে মনে করছেন নারীরা।
গোটা বিশ্বে ৫টি প্রতিষ্ঠান সেক্স রোবট বানায়। গুণগত মানের পার্থক্যও রয়েছে।
হার্ভার্ডের ওই গবেষকের মতে, পুরুষদের ওপর হয়তো নারীদের আগ্রহ হারাতে চলেছে। তা ছাড়া ম্যান বটদের এই আগমন মানবিক সম্পর্কের বিকাশে বড় ধরনের বাধা যে হতে চলেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
সূত্র : ইন্টারনেট