বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকারের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আওয়াজ যেন না ওঠে সেজন্য বিরোধী দলের অস্তিত্ব বিলীন করার কর্মযজ্ঞে সরকার মেতে উঠেছে। এ জন্যই তারা বিএনপি এবং বিরোধী দলগুলোর সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক কর্মসূচি বানচাল করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে বেপরোয়াভাবে ব্যবহার করছে।
ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকায় সদর রুহিয়া থানা এলাকায় ৫টি স্থানে ১৪৪ ধারা জারি এবং গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে বাধা দানের প্রতিবাদে আজ শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৪৪ ধারা জারির ঘটনা প্রমাণ করে-সরকার জনসমাগমকে ভয় পায়, জনগণকে অবজ্ঞা করে। বর্তমান সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলেই জনগণের কোনো দাবি বা অধিকারকে গ্রাহ্য করে না। সরকার তাদের কৃতকর্মের জন্য পুরোপুরি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চরম ভরাডুবির কথা চিন্তা করেই বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিগুলোকে নির্দয়ভাবে দমন করছে।
তিনি আরো বলেন, শত বাধা, জুলুম-নির্যাতন ও হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে বর্তমান সরকার জনবিস্ফোরণ ঠেকাতে পারবে না, ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে দমাতে পারবে না।
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার বিরোধীদলহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করতেই বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা প্রদান করছে। সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, ভাঙচুর, দখল, বানোয়াট মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার এবং রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ১৪৪ ধারা জারি করে বিএনপির সভা-সমাবেশ পণ্ড করা অব্যাহত রেখেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে দাম্ভিকতা, রক্তপাত আর মিথ্যাচারকে পূঁজি করে দেশ চালাতে গিয়ে রাষ্ট্র ও সমাজে অনাচার তীব্র মাত্রায় উন্নীত করেছে।
বিবৃতিতে তিনি ঢাকা মহানগরীর থানায় থানায় বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশি হামলা ও নেতা-কর্মীদের আহত করার ঘটনাতেও তীব্র নিন্দা জানান। আহত নেতা-কর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করেন বিএনপি মহাসচিব।