চলচ্চিত্র অঙ্গন ও অন্যান্য কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করতে তিনশরও বেশি অভিনেত্রী, লেখক ও পরিচালকের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন একটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমসে পুরো পৃষ্ঠাজুড়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে ‘টাইমস আপ’ নামের নতুন এই উদ্যোগের কথা ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্তরা একে ‘বিনোদন জগতের নারীদের পক্ষ থেকে সর্বক্ষেত্রে নারীদের জন্য পরিবর্তনের সমন্বিত ডাক’ হিসেবে অভিহিত করছেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক হার্ভি ওয়েইনস্টেইনের বিরুদ্ধে খ্যাতনামা অভিনেত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগের পর যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে একের পর এক অভিযোগের মুখে নতুন এ প্রকল্পের কাজ শুরু হল।
নাতালি পোর্টম্যান, রিজ উইদারস্পুন, কেট ব্লানচেট, ইভা লনগোরিয়া ও এমা স্টোনের মতো শতাধিক অভিনেত্রী এ প্রকল্পের সঙ্গে আছেন। প্রকল্পের জন্য ‘টাইমস আপ’ এরই মধ্যে প্রাথমিক ১৫ মিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রার ১৩ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ তুলতে পেরেছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির শিকার নারী-পুরুষদের আইনি সহায়তা দিতে এ অর্থ ব্যয় করা হবে।
কৃষি বা কলকারখানার শ্রমিক, তত্ত্বাবধায়ক ও ওয়েট্রেসদের মধ্যে যাদের আইনি লড়াই চালানোর সামর্থ্য নেই, প্রাথমিকভাবে তাদেরই এই অর্থ দেওয়া হবে বলে টাইমস আপ জানিয়েছে। ‘লিঙ্গ বৈষম্য ও ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতার’ বিরুদ্ধেও লড়াইয়ের কথা জানিয়েছে তারা; বলছে প্রতিষ্ঠানের শীর্ষপদে নারীদের জায়গা করে নেওয়া এবং মজুরি সমতার প্রয়োজনীয়তার কথাও।
যৌন নির্যাতন ও হয়রানির বিরুদ্ধে মুখ খোলা নারী-পুরুষদের ‘সাইলেন্স ব্রেকারস’ আখ্যা দিয়ে ডিসেম্বরে তাদেরকে বর্ষসেরার খেতাব দিয়েছিল টাইমস ম্যাগাজিন। গত বছর বিশ্ব ‘মি টু হ্যাশট্যাগের’ উত্থানও দেখেছে; যা নারী ও পুরুষদের তাদের ওপর হওয়া নির্যাতন ও হয়রানির গল্প জানাতে উত্সাহিত করেছিল।
টুইটারে অভিনেত্রী এলিসা মিলানো যৌন নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের প্রতি সংহতি জানাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে বলার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই আন্দোলন গতি পায়। গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ফেসবুক ও টুইটারে এই হ্যাশট্যাগ ৬০ লাখ বারের বেশি ব্যবহৃত হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।