শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, জ্ঞান ও দক্ষতার সমন্বয় ঘটিয়ে তা প্রয়োগ করতে পারলেই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। তিনি আজ রাজধানীর নীলক্ষেতে বেনবেইজ ভবনের সম্মেলন কক্ষে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষা পরিচালকদের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন এবং শক্তি পরিচালনার শিক্ষা বিষয়ে আঞ্চলিক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। যদি আমরা সমাজকে সচেতন করতে না পারি তাহলে সবকিছুই অর্থহীন হবে। শুধু শিক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, সার্বিকভাবে নতুন প্রজন্মকে জ্ঞান ও দক্ষতার সমন্বয়ে প্রস্তুত করতে চাই। আধুনিক যুগের জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে তাদেরকে প্রস্তুত করতে পারলেই সে এগিয়ে যেতে পারবে।’
শিক্ষামন্ত্রী প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষক ও শিক্ষা পরিচালকদের উদ্দেশ্যে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও শক্তির ব্যবহার সম্পর্কে নিজের জ্ঞানকে প্রসারিত ও তা আয়ত্ব করে বাস্তবে প্রয়োগ করার জন্য নতুন প্রজন্মকে তৈরি করতে হবে। নিজেদের লব্দ জ্ঞান দিয়ে নতুন প্রজন্মকে শেখাতে হবে এবং তাদের প্রস্তুত করতে হবে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘আমাদের নতুন প্রজন্ম অনেক বেশি জ্ঞানী হয়ে প্রস্তুত হচ্ছে, তারা অনেক কিছু জানে এবং জানবে। কিন্তু তাদের মধ্যে এমন বোধ সৃষ্টি করতে হবে যাতে তারা মেশিন নির্ভর না হয়। তাদের মধ্যে মানবিক দিকটাকে বিকশিত করতে হবে, তাহলেই তাদের মধ্যে সবসময় মানবিক মূল্যবোধ তৈরী হবে। তারা যা তৈরী করছে তা মানুষের মধ্যে কি প্রভাব সৃষ্টি করছে তা যেন তারা উপলব্দি করতে পারে।’
মন্ত্রী বলেন, জ্ঞানের প্রসারতা ও উন্নয়নের ফলে সমাজে যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে তা সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকায় অনেক কাজ পৃথিবীকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে যাতে নিজেদের পরিবেশকে আর দূষিত না হয়।
ইউনেস্কো বাংলাদেশ জাতীয় কমিশনের সচিব মো. মঞ্জুর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন শিক্ষা সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান। অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন ইউনেস্কো মালয়েশিয়া জাতীয় কমিশনের সচিব জাইদী বিন আব্দুল হামিদ। বিশ্বব্যাংকের লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্স প্রজেক্টের কনসালটেন্ট অজিত কুমার সরকার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।