এমপিওভুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আমরণ অনশনরত শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে সারা দেশ থেকে প্রতিদিন যোগ দিচ্ছেন অনেক নতুন শিক্ষক কর্মচারী।
আজ বুধবার দুপুরে দেখা গেছে আগের দিন মঙ্গলবারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুন শিক্ষক অনশন কর্মসূচি পালন করছেন।
এদিকে আজ চারদিনের মাথায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনেককে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অনেকে চিকিৎসা নিয়ে আবার ফিরে এসেছেন অনশনস্থলে। অনেকে অনশনস্থলে স্যালাইন নিয়ে অনশন করে যাচ্ছেন। অনশনে যোগ দিয়েছেন অনেক নারী শিক্ষক। তাদের অনেকে সারা দিন অবস্থান করে রাতে আত্মীয়-স্বজনের বাসায় গিয়ে অবস্থান করেন।
অনশনে যোগ দেয়া শিক্ষকরা জানান, আজ প্রায় চার হাজার শিক্ষক একসাথে অনশনস্থলে অবস্থান করেন এবং কর্মসূচিতে যোগ দেন।
এমপিওভুক্তির দাবিতে গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করে নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারীরা। কিন্তু দাবি পূরণে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন শিক্ষকরা। সারা দেশে পাঁচ হাজার ২৪২টি নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে মাধ্যমিক পর্যায়ে। মাদরাসা, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও এর অন্তর্ভূক্ত। এগুলো সরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। ২০০৫ সালের পর থেকে বন্ধ রয়েছে এমপিওকরণ। ফলে ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে বিনা বেতনে চাকরি করছেন প্রায় এক লাখ শিক্ষক কর্মচারি। ২০০৬ সাল থেকে এমপিওকরণের দাবিতে বারবার আন্দোলন কর্মসূচি পালন এবং সরকারের পক্ষ থেকে অসংখ্যবার দাবি পূরণের আশ্বাস পেলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। তাই এবার শিক্ষকরা বলেছেন যত কঠোর কর্মসূচিই গ্রহণ করতে হয় করা হবে কিন্তু দাবি পূরণ না করে এবার আর ঘরে ফিরবেন না তারা। এজন্য তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এদিকে অনশনরত শিক্ষকদের মধ্যে আজ ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে দুজন চিকিৎসক পাঠানো হয়েছে।