ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে সরকারের চলমান অভিযানের কারণে তা সংগ্রহ করেন মালিকরা। যা অন্য সময়ের চেয়ে দিগুণ।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর এলেনবাড়িতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যালয়ে পরিবহন মালিক শ্রমিক ও বিআরটিএ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক যৌথ বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরদ্ধে ২১ দিনের অভিযানে ১০ হাজার ৯৫৬টি মামলা হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে ৭৮ লাখ ৩২ হাজার টাকা আর কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে ৪৫ জন ব্যক্তিকে।
এছাড়া ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়েছে ২৯৬ টি যানবাহন। আর ব্যাটারি খুলে নেওয়া হয়েছে হাজার হাজার ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা, নসিমন করিমনসহ ছোট ছোট অনুমোদনহীন যানবাহনের।
মন্ত্রী বলেন, বিআরটিএতে ম্যাজিস্ট্রেট দরকার ১১ জন। কিছুদিন আগে ছিলেন ৩ জন যোগ হয়েছেন আরও দু’জন। তাদের সঙ্গে আরও একজন মহিলা ম্যাজিস্ট্রেট খুব শিগগিরই যোগ হবেন। আরো জনবল বাড়াতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যানবাহনের ওভারলোডিং ঠেকাতে সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে ৩টি ‘ওয়েট স্কেল মেশিন’ বসনো হচ্ছে। এর মধ্যে একটি আগামী ৪ ডিসেম্বর সীতাকুন্ডে উদ্বোধন করা হবে। আরো দু’টির একটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আউশকান্দিতে অপরটি রাঙ্গমাটিতে বসানো হচ্ছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, আগামী জানুয়ারি থেকে মহাসড়কের ১৪৪ দুর্ঘটনাপ্রবণ বাঁক (ব্লাকস্পট) সরিয়ে নিতে কাজ শুরু হবে।
সড়ক মন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে গাড়ি সংকটের কারণে ফিটনেবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাওয়া যাচ্ছে না। বেশি কঠোর হলে দেখা যাবে সবাই পথচারী হয়ে গেছে-তথন রাস্তায় গাড়ি মিলবেনা।
মন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে যানবাহন চলাচলের পরিবেশ সৃষ্টিতে আরো বড় আঁকারে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। এজন্য তিনি বিআরটিএকে পরিবহন সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে ছোট ছোট বৈঠক করে সমাধান খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শীতের সময় ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক দুর্ঘটন বেশি ঘটে। এজন্য শীতের দিনে চালকরা গাড়ি কিভাবে চালাবে তা নিয়ে কাউন্সিলিং করতে হবে।
মালিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, চালকরা যদি দিনরাত পরিশ্রম করে গাড়ি চালায় তাহলে তারা ক্লান্তি দূর করার জন্য নেশাও করে। যার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এজন্য চালকদের বিশ্রাম এবং ভালো ফলমূল খাওয়াতে হবে।
নাটোর ট্রাজেডির প্রসঙ্গ তুলে মন্ত্রী বলেন, ‘নাটোরে যে গাড়িটি রাস্তার ওপর পড়ে যাওয়া লোকদের চাপা দিয়ে হত্যা করেছে সেই গাড়ির সন্ধান এখনও পাইনি।
গাড়ির মালিক শ্রমিকদের তিনি অনুরোধ করে বলেন, গাড়িটি বের করে দেন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যাপারে উদাসীনতা দেশের জন্য ক্ষতিকর।
ট্রাক ও ট্রাকলরি বডির বর্ধিত আকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ট্রাকগুলোর বডির আঁকার ঠিক করতে সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই ঠিক করে নিতে হবে। পরে আর সময় বাড়ানো হবে না।